গর্ভবতী মায়ের যত্ন: বিপদ চিহ্ন, ওষুধ ও খাদ্যতালিকা শরীর ও স্বাস্থ্য by admin - May 14, 2021May 14, 20210 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share একজন মা যখন গর্ভ ধারণ করেন তখন তা তার পরিবারে খুশির খবর বহন করে আনে। বলাবাহুল্য, এই সময়ে অনেকেই অনেক রকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে একথা সত্য যে একজন মায়ের সুস্বাস্থ্যের উপর তার সন্তানের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নির্ভর করে থাকে। তাই একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়। কোনোরকম ভুল পদক্ষেপ মা এবং সন্তান দুজনের ক্ষেত্রেই বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। মা যদি ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ না করেন, তবে গর্ভস্থ বাচ্চা অপুষ্টির শিকার হতে পারে। সন্তানের ওজন কম হতে পারে, স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটে না এবং বুদ্ধির বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই মা এর নিজের যাতে স্বাস্থ্যহানি না ঘটে, কি কি পদক্ষেপ এক্ষত্রে অবলম্বন করতে পারেন তার জন্য আজকের আমাদের এই ব্লগটি বিশদে উপস্থাপনা করছি। Table of Contents গর্ভাবস্থায় কি কি বিপদচিহ্নের কথা মায়েদের মাথায় রাখা উচিত?হঠাৎ রক্তপাত হওয়া:খিচুনি:উচ্চ রক্তচাপ:তীব্র মাথাব্যথা হওয়া বা চোখে ঝাপসা দেখা:ভীষণ জ্বর:বিলম্বিত প্রসব:গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ওষুধ: কোনগুলি খাবেন আর কোনগুলি খাবেন না?অন্তঃসত্বা মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকা:প্রথম মাসের খাদ্যতালিকা:দ্বিতীয় মাসের খাদ্যতালিকা:তৃতীয় মাসের খাদ্যতালিকাচতুর্থ মাসের খাদ্যতালিকা:পঞ্চম মাসের খাদ্যতালিকা:ষষ্ঠ মাসের খাদ্যতালিকা:সপ্তম মাসের খাদ্যতালিকা:অষ্টম মাসের খাদ্যতালিকা:নবম মাসের খাদ্যতালিকা:কোন কোন খাবার একজন গর্ভবতী মা এর পক্ষে ক্ষতিকারক?একজন গর্ভবতী মা কি কি করতে পারেন? গর্ভাবস্থায় কি কি বিপদচিহ্নের কথা মায়েদের মাথায় রাখা উচিত? গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন প্রতিটি মাই চেয়ে থাকেন যাতে তার সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় জন্ম নিতে পারে। তার জন্য এই অন্তঃসত্বা অবস্থায় মায়েদের প্রয়োজন অত্যন্ত সতর্ক থাকা এবং সম্ভাব্য বিপদ গুলিকে এড়িয়ে চলা। কখনো কোনো জটিলতা যদি দেখা যায়, তার থেকে যাতে সকল মায়েরাই সঠিক পদক্ষেপ বেড়িয়ে আসতে পারেন তার জন্য কতগুলি বিপদ চিহ্নের কথা নিচে আমরা উল্লেখ করলাম- হঠাৎ রক্তপাত হওয়া: অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে কখনো কোনো রক্তপাত হচ্ছে কিনা। যদি একমাত্র প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থায় হঠাৎ রক্তপাত হতে শুরু করে বা প্রসবের পর অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তপাত হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটি একজন মায়ের ক্ষেত্রে বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। এইরকম পরিস্থিতির যদি কোনো সম্ভবনা দেখা যায়, তাহলে পরিবারের কোনো রকম চিন্তা না করেই তৎক্ষণাৎ মাকে কোনো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। খিচুনি: অনেক সময় অন্তঃসত্বা থাকাকালীন, প্রসবের এর সময় অথবা প্রসবের পরে মায়েদের শরীরে খিঁচুনি দেখা যেতে পারে। ডাক্তারদের মতে, এই খিঁচুনি হলো একলামসিয়ার একটি প্রধান লক্ষণ। এমতাবস্থায়, দেরি করা উচিত নয়, বরং খুব শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে মা এবং বাচ্চা দুজনেরই চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। নচেৎ, এই ধরণের রোগে মা ও বাচ্চা দুজনেরই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ: একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার সময় আরো একটি বিপদ সংকেত সম্পর্কে অবগত থাকা বিশেষভাবে জরুরি- উচ্চ রক্তচাপ থাকা, যা মা এবং তার সন্তান, দুজনেরই বিপদের কারণ হতে পারে।এইরকম অবস্থায় কম ওজনের শিশু জন্ম বা অপরিণত অবস্থায় শিশুর জন্মদান, সিজার-এর সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে নানা রকমের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন উচ্চ রক্তচাপের সাথে যদি ইউরিন-এ প্রোটিন বা এলবুমিনও পাওয়া যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে মা প্রি-এক্লাম্পসিয়া-তে ভুগছেন। ফলস্বরূপ, মা ও শিশু মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তীব্র মাথাব্যথা হওয়া বা চোখে ঝাপসা দেখা: একজন অন্তঃসত্বা মায়ের জন্য উল্লিখিত কয়েকটি বিপদ সমূহের মধ্যে একটি অন্যতম হলো গর্ভাবস্থায় অথবা প্রসবের সময় বা পরে হঠাৎ তীব্র মাথা যন্ত্রনা শুরু হয় বা চোখে জল আসা, চোখে ঝাপসা দেখা। তাই অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার অংশ হিসেবে এই বিষয়ে মায়েদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ভীষণ জ্বর: বড় বড় বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারের মতে অন্তঃসত্বা অবস্থায় বা বাচ্চা প্রসবের পরে ভীষণ জ্বর আসা, বা তিনদিনের বেশি সেই জ্বর থেকে যাওয়া, অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বের হওয়া অনেক ক্ষেত্রে মূত্রনালীতে সংক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এইরকম পরিস্থিতিতে শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা করতে পারলে এই বিপদ সহজেই কেটে যাবে। বিলম্বিত প্রসব: অনেকসময় বিলম্বিত প্রসব হলে বা প্রসবব্যাথা যদি ১২ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষত্রে সরাসরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাহায্য নেওয়াই কাম্য। গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ওষুধ: কোনগুলি খাবেন আর কোনগুলি খাবেন না? অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ সেবন করা। আমরা যেসব ওষুধ সাধারণত সেবন করে থাকি তাদের সবারই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। গর্ভাবস্থা হলো এমনই এক সময় একজন মায়ের জীবনে, যখন তিনি নিজের সবচেয়ে বেশি যত্ন নেওয়ার ও বিভন্ন রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেন। তাই অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার সময়ে সাধারণ অসুস্থতার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধগুলি বেঁচে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষত আপনার প্রষ্টোম ট্রাইমেস্টারর সময় না নিজে থেকে ওষুধ চয়ন করার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। নতুবা, আপনার এবং বিকাশমান শিশু দুজনের ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠতে পারে। প্রসবকালীন যে ভিটামিন ওষুধগুলি ডাক্তারবাবু প্রেস্ক্রাইব করে দিয়েছেন তা গর্ভবস্থায় থাকাকালীন মায়ের পক্ষে সেবন করা অত্যন্ত নিরাপদ এবং প্রয়োজন। নিচে আমরা কিছু ওষুধ এর জেনেরিক নাম কথা উল্লেখ করলাম যা গর্ভাবস্থায় আপনি নিতে পারেন- অবস্থাওষুধঅ্যালার্জিলোরাটাডাইন, ডিফেনহাইড্রামাইন, সেটিরাইজাইনকোষ্ঠকাঠিন্যমিথাইলসেলুলোজ, মিনারেলয়েল জ্যুস আকারে (৩০ এমএল), সেনোসাইড, ডোকুসেট সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম পলিকার্বোফিলকাশি (অ্যালকোহলহীন সিরাপ)ডেক্সট্রোমেথরফান হাইড্রোব্রোমাইড, ডেক্সট্রোমেথরফান, গুয়াইফেনেসিনজ্বরঅ্যাকেটামাইনোফেনডায়রিয়ালোপারামাইডগ্যাসসিমেথিকোনবুকজ্বালা বা অম্বলক্যালসিয়াম কার্বোনেট, ফ্যামোটিডাইন, র্যানিটিডাইনবমি বমিভাব / বমি, মোশন সিকনেসডিমেনহাইড্রিনেট, ভিটামিন বি-৬, ডোক্সিলামাইন সাক্সিনেট এছাড়া যেসব ওষুধগুলি গর্ভাবস্থায় আপনার বর্জন করা উচিত তারও একটি তালিকা আমরা দিলাম- নাইট্রাজিপামএন্ড্রোজেনিক হরমোনক্যাপটোপ্রিলইনালাপ্রিলফেনিটোয়িনলিথিয়াম সুতরাং অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার সময় মা এবং ডাক্তার দুজনেরই সচেতন থাকা খুবই জরুরি। কারণ সামান্য একটু ভুল মা ও তার সন্তান দুজনেরই পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আশা করা যায় যে সকলেই এই সম্পর্কে সচেতনতা গ্রহণ করবে। অন্তঃসত্বা মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকা: একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেয়ার সময় মায়েরা দ্বিধায় থাকতে পারেন যে কোন খাদ্য খাবেন বা কোনটি খাবেন না তাই নিয়ে। তবে সবার প্রথমে মায়ের খাদ্য নির্বাচনের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখা খুবই দরকারি- মায়ের ভালো স্বাস্থ্য রক্ষাবাচ্চার সঠিক বেড়ে ওঠাপ্রসবকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তির যোগান দেওয়াপ্রসবের পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ সরবরাহ করা উপরোক্ত বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে আমরা এখানে মাসভিত্তিক খাদ্যতালিকা উল্লেখ করলাম যা মা ও তার সন্তান দুজনেরই পক্ষে পুষ্টিকারক। প্রথম ট্রাইমেস্টার- দৈনিক ১৬০০ ক্যালরি প্রথম মাসের খাদ্যতালিকা: দুগ্ধজাত পণ্যফোলেটযুক্ত খাদ্য (বাঁধাকপি, শতমূলী, লেবুবর্গীয় ফল, বীনস ইত্যাদি)গোটা শস্যদানা বা হোল গ্রেইনহাঁস-মুরগির মাংস এবং হাঁসের ডিমফল ও সবজিনরম চীজ বা পনির দ্বিতীয় মাসের খাদ্যতালিকা: ফলিক এসিডযুক্ত খাবার (আমণ্ড, আখরোট)আইরনযুক্ত খাবার (পালং শাক )ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার (বাঁধাকপি,সবুজ শাক-সবজি )প্রোটিনজাতীয় খাবার (চিকেন,ডিম,দুধ)জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার (মাছ,সবজি এবং বিনস)তন্তুজাতীয় খাবার (গাজর, বাঁধাকপি, দানাশস্য) তৃতীয় মাসের খাদ্যতালিকা টাটকা ফলসবুজ শাক-সবজিদুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্যবাদামমাংসদানাশস্য দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার- দৈনিক ১৯০০ ক্যালরিঃ চতুর্থ মাসের খাদ্যতালিকা: ডিম, বীন, ডাল, অঙ্কুরিত ছোলামুর্গি, মাছ এবং মাংসগুড় এবং সবুজ শাক সব্জিশুকনো ফল এবং বাদামছানা পঞ্চম মাসের খাদ্যতালিকা: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারম্যাগনেসিয়াম,আয়রণ,ভিটামিন-E এবং ভিটামিন B-কমপ্লেক্স-সমৃদ্ধ হোল গ্রেইনসক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবারউচ্চ-তন্তুস্যালাড, তাজা ফল ষষ্ঠ মাসের খাদ্যতালিকা: ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ খাবারতরল জাতীয় খাবারফলিক-অ্যাসিড-যুক্ত খাবারটাটকা শাক-সবজি তৃতীয় ট্রাইমেস্টার- দৈনিক ২১০০ ক্যালরিঃ সপ্তম মাসের খাদ্যতালিকা: সবুজ শাক-সবজিমাছ, মাংসআয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অষ্টম মাসের খাদ্যতালিকা: মাছ, রেড মিটকলা, কমলালেবুদুগ্ধজাত পণ্যসবুজ শাক-সবজিপিনাট মাখন নবম মাসের খাদ্যতালিকা: উচ্চ তন্তু-যুক্ত খাদ্যউচ্চ ক্যালসিয়াম ও আইরন-যুক্ত সমৃদ্ধ খবরউচ্চ ভিটামিন- সি এবং এ সমৃদ্ধ খাবারউচ্চ ফলিক অ্যাসিড-যুক্ত খাদ্য কোন কোন খাবার একজন গর্ভবতী মা এর পক্ষে ক্ষতিকারক? একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার সময় যেমন দেখে নিতে হয় কি কি খাবার খাওয়া মা ওর সন্তান দুজনের পক্ষেই জরুরি, তেমনি যে খাবারগুলি উভয়ের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ তাও জেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো- ক্যাফিনপ্রসেসড জাঙ্কফুডহাফ-সিদ্ধ ডিমকম রান্না করা, কাঁচা সীফুড, মাছঅ্যালকোহলআনপাস্তুরাইজড দুগ্ধজাতীয় খাদ্য আরও পড়ুন – গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি? সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় উপরোক্ত তালিকাতে সামগ্রিক ভাবে একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি খাওয়া উচিত আর কোনগুলি নয় তার একটি চিত্র উপস্থাপনা করা হলো। তবে এক্ষেত্রে সবার প্রথমে একটি সুস্থ খাদ্যতালিকা তৈরী করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে বিশদে আলোচনা করে নেবেন, কারণ মনে রাখতে হবে এই কটি মাস একজন হবু মা এর পক্ষে একটি কঠিন লড়াই। সঠিক উপায়ে অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন জন্য নেওয়া সম্পন্ন হলেই তবেই মা-সন্তান দুজনেই ভালো থাকবেন। একজন গর্ভবতী মা কি কি করতে পারেন? গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন প্রতিটি মায়ের দরকার নিজের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া। তার জন্য কি কি করতে পারেন তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো- নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এটি মাকে গর্ভাবস্থায় সক্রিয় এবং ফিট রাখতে সাহায্য করবে। কেগল এক্সারসাইজও করার চেষ্টা করতে পারেন।একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়ার অংশ হিসেবে দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো অত্যন তো জরুরি।কিডনির প্রক্রিয়া উন্নত করতে আপনি পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।আপনার হাত ও পায়ের ব্যথা হ্রাস করতে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ভিটামিন বি৬ গ্রহণ করতে পারেন।সন্তানের জন্ম সম্পর্কে ও গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সতর্কতা সম্পর্কে নিবন্ধ পড়ুন। কিন্তু কোনো ভয় পাবেন না, বরং স্রোতের সাথে চলতে চেষ্টা করুন।এইরকম সময়ে একজন হবু মা-এর মন ইতিবাচক রাখা খুবই জরুরি। শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন, ভালো সিনেমা দেখা, সঙ্গীত শোনা- যা আপনার মনকে ভালো রাখতে পারে তাই করুন। তাহলে আজকের উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা দেখে নিলাম কি করে একজন অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। আশা করা যায়, এই ব্লগটি পড়ে হবু মায়েরা সহজেই বুঝতে পারবেন কি কি উপায়ে নিজের খেয়াল রাখা সম্ভব ও সাথে সাথে নিজেকে ও নিজের সন্তানকে সুস্থ জীবন প্রদান কড়া যেতে পারে। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share