দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায়: এই ৯ টি টিপস্ মাতিয়ে দেবে বিবাহিত জীবন সম্পর্ক by admin - April 6, 2020November 26, 20202 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share দাম্পত্য জীবনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে একটি নির্মীয়মান স্থাপত্যকে। কোনো স্থাপত্য নির্মাণ করতে যেমন ভাবে ইট,বালি, সিমেন্ট ও আরো নানা সামগ্ৰী লাগে, ঠিক তেমনি জীবনের দাম্পত্যকে সুখী ও সুন্দর করতে গেলে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, বোঝাপড়া এই সকল কিছুরই মিশ্রণ দরকার পড়ে। আজ শেয়ার করবো দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার কিছু উপায় যা আপনার বিবাহিত জীবন কে মাতিয়ে দেবে। চলুন তাহলে আলোচনা করা যাক দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় সমূহ:- ১. পাশে থাকা :- একজন মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে কারুর স্ত্রী হয়ে যেমন ভাবে নিজের চেনা পরিবেশ ছেড়ে সম্পূর্ণ অজানা বা অপরিচিত পরিবেশে সারাজীবন সুখে কাটানোর প্রত্যাশা নিয়ে আসে, ঠিক সেই সময় স্বামীর অবশ্যই উচিত নিজের স্ত্রী কে সবরকম পরিস্থিতিতে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া,যাতে স্ত্রী কখনোই না মনে করে এটা আমার বাড়ি নয়,বা এখানে থাকতে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। স্বামীর সর্বদা উচিত তার স্ত্রী কে অনুভব করানো এটা তোমার বাড়ি।আর উল্টোদিকে স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীকে বুঝতে চাওয়া। তার মনোভাব,তার মানসিকতাকে একটু একটু করে অনুধাবনের চেষ্টা করা।আজকাল আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়।আমরা একে অপরকে চিনি ও জানি এটা যেমন ভাবে ঠিক; তেমনি এক ছাদের তলায় জীবন যাপন কিন্তু অনেকটাই আলাদা অভিজ্ঞতা। ২. বিশ্বাস করা :- বিশ্বাস হলো যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বড়ো ভীত।যে ভীতের ওপরে সম্পর্কের অট্টালিকা দাঁড়িয়ে থাকে। দাম্পত্য জীবনে যদি বিশ্বাসের ভীতই নড়বড়ে হয়, তাহলে কোনো সম্পর্কই দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে না। বিশ্বাসের ঘর যদি ঠুনকো হয়, তবে তাসের দেশের মতো ঘর ভেঙে যায়। স্বামী ও স্ত্রী এই সম্পর্কে আসার আগে দু’জন জীবনের অনেক গুলো বছর নিজেদের মতো করে কাটিয়েছে। দুজনেই জীবনের আলাদা আলাদা বৃত্তে জীবন যাপন করেছে। নানা রকম পরিস্থিতি বা নানাবিধ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে তারা। তাই আমাদের উচিত অতীতকে নিয়ে মাথাব্যথা না করে, বর্তমানকে নিয়ে বেশি বিশ্বাসী হওয়া। বর্তমানের বিশ্বাসের পিলারকে এতোটাই মজবুত করতে হবে,যাতে কিনা ভূমিকম্পের কাছেও হার না মানতে হয়। স্ত্রী র কাছে স্বামীকে নিয়ে বা স্বামীর কাছে স্ত্রীকে নিয়ে নানাজনে নানা কথা বলবেই। আমাদের জগতটাই এমন কেউ কারুর সুখ সহ্য করতে পারি না। তাই লোকজনের কথায় কান না দিয়ে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের দ্বারাই চিরসুখী হওয়া যায়। আরো পড়ুন – এই নয়টি লক্ষণ আপনার প্রেমিকার মধ্যে থাকলে আপনি বুঝবেন সে কখনই আপনাকে ছেড়ে যাবে না ৩. বোঝাপড়া :- দাম্পত্য জীবন হলো একটা গাছের মতোন।আমি আমার বাগানে গাছটাকে লাগালাম। তাকে জল দেবো,যত্ন করবো। গাছটা ধীরে ধীরে বড়ো হবে। আগাছা হলে সেগুলো কে কেটে বাদ দেবো।গাছটা একদিন অনেক বড়ো হবে।ফল ও ফুল যেমন দেবে ছায়ায়ও দেবে। কিন্তু এবার যদি মনে করি গাছ আমি এনে লাগিয়েছি, গাছের মালিক আমি। গাছের সাথে যা খুশি তাই করতে পারি। তাহলেই দাম্পত্য সম্পর্ক শেষ। এ ক্ষেত্রে হয় পুরো গাছটা মরে যাবে, নয়তো পরগাছা এসে পুরো গাছকে ছেয়ে নেবে।তাই দাম্পত্য সম্পর্কে যদি বোঝাপড়া না থাকে তাহলে সেই সম্পর্ক কোনোদিন দানা বাঁধতেই পারেনা। আপনারা পড়ছেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় ৪. সুযোগ দেওয়া :- মানুষ ভগবান নয়। ভুলত্রুটি মানুষ মাত্রই হওয়া স্বাভাবিক। একে অপরকে যদি সর্বক্ষণ দোষারোপ করতে থাকি, তাহলে কোনো এক সময় উপলব্ধি হবে এই সম্পর্ক থেকে মুক্তিলাভ প্রয়োজন।আর তখনই সম্পর্কতে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াবে।আমরা যদি কাউকে ভালোবাসি ,গোটা মানুষটাকে নিয়েই ভালোবাসা উচিত।তার ঠিক তার ভুল সবটা নিয়ে। আমরা যদি তার ঠিক গুলোকেই ভালোবাসলাম আর ভুল গুলো নিয়ে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু করে দিলাম, তাহলে উভয়ের তরফেই সেই সম্পর্কতে থাকার চেয়ে না থাকা চরম সুখের।তাই ভুল করলে সুযোগ দিতে হবে।ভুল বোঝার জন্য সময় দিতে হবে। ভুল করছে দেখে ঝগড়া না করে, মানুষটাকে আন্তরিকতার সাথে বোঝাতে হবে। একবার যদি তাকে বোঝানোর মাধ্যমে উপলব্ধি করানো যায় তার কোনটা ভুল,তাহলে দেখা যাবে পরেরবার থেকে সে আর সেই ভুলটার পুনরাবৃত্তি করবে না। আরও পড়ুন – এই ১১ টি লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন সে আপনাকে মনে মনে পছন্দ করে ৫. তৃতীয় ব্যক্তি’:- এক ছাদের তলায় থাকতে থাকতে দুজন মানুষের মধ্যে নানাবিধ সমস্যার সূচনা হতেই পারে। জীবন মানেই সমস্যা শঙ্কুল।আর এই সমস্যাতে দুজন দুজনের পাশে না থাকলে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ নিশ্চিত। স্বামী বা স্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা তৈরি হলে, দুজন দুজনকে সময় দিতে হবে।এক অপরের মনের কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। আর সেটা যখন হবে না দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকবে। কোনো সমস্যা জীবনে আসবে, সেটাকে ব্যক্ত করার প্রয়োজন।আর ঠিক তখনই অনেক সময় ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে এই তৃতীয় ব্যক্তি এতো ভালো মানুষ সেজে যায়, আমরা তখন ভাবি এই তৃতীয় ব্যক্তি আমাদের জীবনে ভগবানের দ্যুত। আর এই সরলতার সুযোগে এই তৃতীয় ব্যক্তিই সম্পর্ককে জটিল থেকে জটিলতর করে দেয়। সম্পর্কতে গোলমাল সৃষ্টি করে নিজে সরে যায়। আর হেরে যায় দুটো মন, হেরে যায় দুটো প্রেম, হেরে যায় এতোদিনের দাম্পত্য। তাই তৃতীয় ব্যক্তির আসা অনিশ্চিত করতেই হবে। নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই মিটিয়ে নিতে হবে। তাহলে বিবাহিত জীবন সুখের হবে। আপনারা পড়ছেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় ৬. শ্রদ্ধা :- শ্রদ্ধা হলো একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে দৃঢ় করার পদ্ধতি। দাম্পত্যে যদি শ্রদ্ধা না থাকে, তবে সে দাম্পত্য মূল্যহীন হয়ে যায়। সমাজের চোখে নিজের প্রিয় মানুষটা যাতে কোনোভাবেই ছোটো না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। দুটো বাসন যেমন পাশাপাশি থাকলে ঠোকাঠুকি হবেই,ঠিক তেমন একটা ছাদের তলায় দুজন মানুষ বসবাস করতে শুরু করলে সাময়িক সমস্যা হবেই। তাই পরস্পরের সাথে শ্রদ্ধার বাক্য বিনিময়ে নিজেদেরকেই নিজেদের সমস্যা মেটাতে হবে।দাম্পত্য যে শুধু দুজন মানুষের মধ্যেই হয় তাতো নয়, দুটো পরিবারো মিলে মিশে থাকে। দুজন দুজনকে সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি দুটো পরিবারের প্রতিই দুজনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা মূল কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।কারণ আজ আমাদের প্রিয় মানুষটাকে আমরা তো আর হঠাৎ করে পাইনি,তাকেও তার পরিবার বড়ো করেছে মানুষ করেছে তারপর তাকে আমরা পেয়েছি।তাই দুজন দুজনকে সম্মান দেওয়ার সাথে সাথে পরিবারের প্রতি একে অপরের কর্তব্য সম্মান প্রদর্শন করা। ৭. দায়িত্ববোধ :- পরিবারের দায়ীত্ব দুজনকেই সমান ভাবে ভাগ করে নিতে হবে। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই যদি চাকরিরত হন, সেক্ষেত্রে স্ত্রী বলে পরিবারের সমস্ত কাজ সে একাই করবে এই মানসিকতা দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তাই পারিবারিক দায় দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে না বা চাপিয়ে দিলে হবে না। পরিবারের দায়ীত্বগুলো যতো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া যাবে, দাম্পত্যে ততোবেশি হৃদ্যতা বাড়বে।আর দুজনের একজন যদি চাকরিরত না হয়, তা বলে পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব সেই বাড়ি থাকার মানুষটার তা কিন্তু ভাবলে চলবে না। সে বাড়িতে থাকে বলে যখন যা বলা হবে তৎক্ষণাৎ তাকে তাই করতে হবে এই মানসিকতা কিন্তু মোটেও ভালো নয়। কারণ সেও মানুষ,তারও দায়ভারের সীমা পরিসীমা আছে এটা বুঝতে হবে। আপনারা পড়ছেন দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় ৮. মজা করা :- দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছি বলে একে অপরের সাথে ক্রমাগত ভারী ভারী সাংসারিক কথোপকথন করলাম এটা কিন্তু সব সময় ঠিক নয়। এক কথা সবসময় আলোচনা করতে থাকলে সেই বিষয়ের উপর আগ্ৰহ হারিয়ে যায়। তখনই দাম্পত্য জীবন নুন ছাড়া ডিমসেদ্ধর স্বাদের মতো হতে থাকে।তাই একে অপরের সাথে নিয়মিত রসিকতা করুন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। কঠিন মুহুর্তেও বুদ্ধিদীপ্ত রসিকতা সাময়িক স্বস্তি প্রদান করে। কথায় আলোচনার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনকে প্রতিদিন নতুন ভাবে শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন দাম্পত্য জীবন মধুর ও সুখের হচ্ছে। আরও পড়ুন – এই সহজ পদ্ধতিতে মাত্র এক মাসেই কমান শরীরের অতিরিক্ত মেদ | Reduce Extra Body Fat In A Month ৯. সময় দেওয়া :- সে আমার স্ত্রী বলে বা আমি তার স্বামী বলে দুজন দুজনকে সময় দেবোনা,এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে চললে মোটেও হবে না। সারাদিনে অন্তত ২০ মিনিট একে অপরের সাথে কথা বলুন। সপ্তাহে না হোক অন্তত মাসে একবার কাছে ধারে ঘুরে আসুন।হোক না কফিশপ বা শপিং মল বা সিনেমা হল আসলে জরুরি একে অপরকে সময় দেওয়া। তাহলেই দেখবেন আপনাদের সম্পর্ককে উল্টোদিকের অন্য দম্পতিরা নিজেদের জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্ৰহণ করে নিয়েছে। Subscribe to our newsletter! দাম্পত্য জীবন হলো একটা লম্বা সফর। আর এই লম্বা সফরটিতে অনেক কঠিন পরীক্ষা দিয়ে একসাথে সারাজীবন কাটাতে হয়। নদীতে যেমন জোয়ার ভাটা থাকে তেমনি সম্পর্কতেও উন্নতি-অবনতি থাকে। আমরা যদি হাল ছেড়ে দি তাহলে সম্পর্ক ভেঙে যাবে।তাই বন্ধুরা আজকের আলোচনা কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আশা করবো আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share
কিন্তু স্ত্রীকে একটু বেশি ভালোবাসলে সে সংসার থেকে পৃথক হয়ে মাথায় উঠে নাগিন ডান্স করার চেষ্টা করে এখন সেই নাগিন ডান্সটা কিভাবে কন্ট্রোল করব তার পদ্ধতি বলুন । Reply