রসগোল্লা বানানোর রেসিপি: বাড়িতে বসে শিখে নিন রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি রান্নাবান্না ও রূপচর্চা by admin - September 20, 2020September 20, 20201 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Jump to Recipe Jump to Video Print Recipe রসগোল্লা বানানোর রেসিপি/পদ্ধতি! মিষ্টি খেতে কে না ভালোবাসে আবার সেটা যদি হয় রসগোল্লা তালে তো আর কথাই নেই। বাঙ্গালীর হাজারো ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হল রসগোল্লা। মিষ্টিপ্রেমী বাঙ্গালীর রসগোল্লা ছাড়া ভাতের শেষ পাত একদম অসম্পূর্ণ । রসগোল্লার জন্ম এই বাংলায় নবীন চন্দ্র দাসের হাত ধরে। রসগোল্লা কাদের ঐতিহ্য তা নিয়ে চলছিল বাংলা বনাম ওড়িশার লড়াই। কিন্তু অবশেষে ২০১৭ সালে ঐতিহ্যের লড়াইয়ে জয়ের শিরোপা ছিনিয়ে নেয় বাংলা। আর শুধু আজ থেক নয় ১৮৬৮ সাল থেকেই রসগোল্লা কিন্তু সবার প্রিয়। তাই আজ আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি আপনার আমার সকলের প্রিয় রসগোল্লা রেসিপি (রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি)। তো চলুন আর দেরি না, এই পোস্ট থেকে শিখে নেওয়া যাক রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি(রসগোল্লা রেসিপি)। রসগোল্লা বানানোর রেসিপি/পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, শুধু এর জন্য একটু সময়, ধৈর্য্য লাগবে আর বেসিক কতগুলি ধাপ মেনে চলতে হবে, আর অবশ্যই উপকরনের পরিমান সঠিক রাখতে হবে, কারন মনে রাখবেন পরিমানের উপর নির্ভর করেই কিন্তু একদম দোকানে বানানো রসগোল্লার স্বাদ পাবেন। আমি এখানে ১০ জন খেতে পারে সেই হিসেবে আয়োজন করেছি। রসগোল্লা তৈরির প্রস্তুতি ৩ লিটার ক্রিমযুক্ত দুধ১ টি পাতিলেবু১ কাপ ময়দা৩ চামচ গুড়ো চিনি আগেই বলেছিলাম যে রসগোল্লা বানানোর রেসিপির জন্য মূল কিছু ধাপ মেনে চলতে হব। এখন আমরা সেই ধাপসমূহ নিয়ে আলোচনা করবো। ছানার বল তৈরির পদ্ধতিঃ- ১)প্রথমে একটি পাত্রে ক্রিমযুক্ত দুধ নিন। তারপর গ্যাস অন করে পাত্রটি গ্যাসের উপর রাখুন। এরপর ১০মিনিট ধরে দুধটি জ্বাল দিন। এবার ভালো ভাবে দুধ ফুটে উঠলে ২ চামচ পাতিলেবুর রস তার মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর একটি চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়ুন যতক্ষন না অবধি ছানা না কাটে। ২)ছানা আর জল আলাদা হয়ে এলে নাড়ানো বন্ধ করে গ্যাস অফ করে দিন। এরপর প্রায় ১০মিনিট ঠাণ্ডা হতে সময় দিন। ৩) এবার পাতলা সুতির কাপড়ের মধ্যে ছানাটা নিয়ে জল থেকে আলাদা করে নিন, মাঝে একবার ছানাটা থান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন যাতে লেবুর রসের গন্ধ না থাকে। এরপর হাত দিয়ে আস্তে চিপে চিপে ছানার ভিতরে থাকা সমস্ত জল বের করে নিতে হবে। কারন জল থাকলে কিন্তু রসগোল্লা ভেঙে যেতে পারে। ৪)ছানার জল ছাঁকার সময় কোনভাবে জোরে প্রেসার দাওয়া যাবে না এতে ছানার ভিতরের মশ্রারাইজার চলে যায় ফলে মিষ্টি শক্ত হয়ে যেতে পারে। এরপর ছানা সমেত কাপড়টি বেঁধে ৪০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখুন। ৫) ৪০ মিনিট হয়ে গেলে ছানাটা নামিয়ে একটি বড় প্লেইন পাত্রের মধ্যে রাখুন , তারপর তার মধ্যে ৩ চামচ ময়দা ও গুড়ো চিনি দিয়ে ভালো করে হাতের তালু দিয়ে নিচ থেকে উপরের দিকে ঘষুন যতক্ষন না অবধি ছানাটা মসৃণ না হচ্ছে। খেয়াল রাখতে হবে ছানার মধ্যে যেন কোন দলা না থাকে। ৬) ছানা মসৃণ হয়ে গেছে রসগোল্লার আকারের ন্যায় গোল গোল করে গড়ে দিন। শিরা তৈরির পদ্ধতিঃ- ৩ কাপ চিনি৮ কাপ জল২ টি এলাচ ৭) প্রথমে একটি পাত্রে ৩ কাপ চিনি নিয়ে নিন। (এখানে বলে রাখি অনেকেই কম মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন কিন্তু রসগোল্লার আসল স্বাদ পেতে গেলে মিস্টি একটু বেশী লাগে)। এরপর ৮ কাপ জল দিয়ে দিন চিনির মধ্যে ( শিরা বেশী ঘন না হয় তার জন্য জল বেশী নিতে হয়, কারণ ছানাতে কোন স্বাদ থাকে না শিরার মাধ্যমেই রসগোল্লা মিষ্টি হয়)। ২ টুকরো এলাচ হালকা থেঁতো করে শিরার মধ্যে দিয়ে দিন এতে সুন্দর গন্ধ আসবে মিষ্টি থেকে। এরপর গ্যাস অন করে ১০ মিনিট মতো নিভু আঁচে ফোটান । ১০ মিনিট হয়ে গেলে হাতে নিয়ে শিরার ঘনত্ব দেখে নিন। রসগোল্লা তৈরির পদ্ধতিঃ- ৮) শিরা ফোটার সময় আগে তৈরি করে রাখা ছানার বলগুলি তার মধ্যে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। বলগুলি দেওয়ার পর কোনভাবে নাড়ানো যাবে না। ১৫ মিনিট হয়ে গেলে গ্যাস অফ করে আরও ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন যাতে রসগোল্লার মধ্যে রসগুলো ঢুকতে পারে। ৯) রসগোল্লা সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে কিনা বুঝতে একটি বাটিতে নর্মাল জল দিয়ে তার মধ্যে একটি রসগোল্লা দিয়ে দিন, যদি রসগোল্লাটি জলের মধ্যে ডুবে যায় তো বুঝবেন আপনার সম্পূর্ণ রসগোল্লা তৈরি। ১০) এবার হয় গরম গরম রসগোল্লা উপভোগ করুন বা ২ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করে উপভোগ করুন আপনার পছন্দের রসগোল্লা। দোকানের মতো অতুলনীয় রসগোল্লা তৈরির জন্য কি কি প্রয়োজনীয় ? দোকানের ন্যায় মিষ্টির স্বাদ পেতে মনে রাখতে বিশেষ কিছু উপকরনের বিষয়। ক্রিমযুক্ত দুধ- আমরা অনেকেই রসগোল্লা তৈরির জন্য নর্মাল গরুর দুধ ব্যবহার করি। কিন্তু সব সময় ক্রিমযুক্ত দুধ ব্যবহার করা উচিত । কারণ ক্রিম দুধের স্বাদ অন্যন্য দুধের থেকে সম্পুর্ণ আলাদা আর একটু তৈলাক্ত হয় । এতে এক্সটা ফ্যাট থাকে। আর এই দুধ ব্যবহারে রসগোল্লা নরম হয়, খেতেও বেশ লোভনীয় হয়। এলাচ- এলাচ চিনির শিরায় দিলে আর গন্ধটাই লাজাবাব হয়। এলাচের মধ্যে যে এরোমা থাকে তা মিষ্টির মধ্যে অতুলনীয়ভাবে অন্য ধরনের আমেজ সৃষ্টি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে ভুলেও বড় এলাচ ব্যবহার করবেন না। মিষ্টির ক্ষেত্রে সর্বদা ছোট এলাচ প্রযোজ্য। ছোট দানার চিনি- চিনি দুই রকমের হয় বড় দানার চিনি ও ছোট দানার চিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে ছোট দানার চিনি ব্যবহার করা হয়। কারন ছোট দানার চিনি সহজেই গলে যায়, জল বেশী ফোটাতে হয় না এর হলে শিরার পরিমান ঠিক থাকে। কিন্তু বড় দানা ব্যবহার করলে সময় বেশী লাগে উপরিউন্তু প্রয়োজনে আরও জল দিতে হয়। কাঠের পাটাতন- যে কোন মিষ্টির দোকানে খেয়াল করলে দেখবেন তারা ছানা মাখার জন্য কাঠের পাটাতন ব্যবহার করে থাকে। কারন এতে ছানা মাখা ভালো হয়, কোন দলা ভাব থাকে না। কিন্তু বাড়িতে কাঠের পাটাতন না থাকলে বিকল্প হিসেবে কাঠের পাটাতন ব্যবহার করতে পারেন। সবথেকে ভালো রসগোল্লা কিভাবে বানাবে? সবথকে ভালো স্পঞ্জের রসগোল্লা বানাতে গেলে যে সকল বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। ছানার মিশ্রণ তৈরি- রসগোল্লা আসল দিক হল রসগোল্লা তৈরির জন্য বল সঠিকভাবে গড়তে হবে। আর জন্য যখন ছানা মাখা হবে সেটা যেন খুব মসৃণ হয়। তার মধ্যে কোনভাবে দলা না থাকে। তাই গুঁড়ো দুধ ও ময়দা দেওয়ার সময় চালনি দিয়ে ভালো ভাবে চেলে নেবেন। শিরার মিশ্রণ- শিরার মিশ্রণের ঘনত্ব খুব জরুরি রসগোল্লা তৈরির ক্ষেত্রে। কারন ঘনত্ব বেশী হলে রস ঢুকবে না মিষ্টির মধ্যে উল্টে বেশী আঠালো হয়ে যাবে যার ফলে ঠাণ্ডা হয়ে গেছে দানা পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে, এক্ষেত্রে সেটি দানাদার মতো দেখতে হয়ে যাবে। আরও পড়ুন – ডালগোনা কফি বানানোর পদ্ধতি: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন নিমেষে এবার তো জেনে নিলেন রসগোল্লা বানানোর রেসিপি/পদ্ধতি । মাত্র ৪ ঘণ্টায় কিভাবে তৈরি হয়ে যাবে আপনার মনের মতো মিষ্টি। তাই আর দেরি না করে ঝটপট একবার ট্রাই করে ফেলুন যাতে বাড়িতে কোন অথিতি আশার কথা থাকলে শেষ পাত হোক কিংবা শুরু, কিনে আনা বাইরের মিষ্টির দোকানের রসগোল্লা আর খাওয়াতে না হয়। তাঁদের আপনার নিজের হাতে তৈরি রসগোল্লা খাওয়ার সুযোগ করে দিন। সবাইকে আনন্দ দিন, আর নিজেও উপভোগ করুন । রসগোল্লা বানানোর রেসিপি! ছানা তৈরি করে, ছানাকে ভালোভাবে মসৃণ ভাবে মেখে মাঝারি আকৃতির বল বানিয়ে চিনির শিরায় ডুবিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন, হাতে তৈরি স্পঞ্জের রসগোল্লা। Print Pin 5 from 1 vote রসগোল্লা বানানোর রেসিপি | রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি রসগোল্লা বানানোর রেসিপি! ছানা তৈরি করে, ছানাকে ভালোভাবে মসৃণ ভাবে মেখে মাঝারি আকৃতির বল বানিয়ে চিনির শিরায় ডুবিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন, হাতে তৈরি স্পঞ্জের রসগোল্লা। Course Dessert Cuisine Indian Keyword রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতি, রসগোল্লা বানানোর রেসিপি, রসগোল্লা রেসিপি Prep Time 1 hour hour 10 minutes minutes Cook Time 35 minutes minutes Total Time 1 hour hour 45 minutes minutes Servings 10 প্লেট Calories 0.106kcal Author admin Cost ₹200 Equipmentকড়াইথালাকাঠের পাটাতনসসপেনহাতা Ingredients৩ লিটার ক্রিমযুক্ত দুধ১ টি পাতিলেবু১ কাপ ময়দা৩ চামচ গুড়ো চিনি৩ কাপ চিনি৮ কাপ জল২ টি এলাচ Instructionsছানা তৈরি করতেএকটি পাত্র নিয়ে তার মধ্যে ক্রিমযুক্ত দুধ নিনতার মধ্যে ২ চামচ পাতিলেবুর রস ঢালুনছানা কেটে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ছানাটা ধুয়ে নিন৪০ মিনিট ধরে ছানাটা কাপড়ের মধ্যে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুনএকটি কাঠের পাটাতনে ছানা, ৩ চামচ ময়দা, গুড়ো চিনি নিয়ে মসৃণভাবে মেখে নিনহাতে নিয়ে গোল গোল করে বল তৈরি করে নিনশিরা তৈরির পদ্ধতিপাত্রে ৩ কাপ চিনি নিন৮ কাপ জল নিনচিনি ও জল একসাথে ফুটিয়ে শিরা তৈরি করুনএলাচ ত্থেতো করে শিরার মধ্যে দিনরসগোল্লা তৈরির শেষ ধাপশিরা হয়ে গেলে তার ঘনত্ব দেখে নিনতৈরি করা বল গুলো শিরার মধ্যে ঢালুনঢালার পর আর নাড়াবেন নাএইভাবে ১৫ মিনিট ফুটতে দিন নিভু আঁচেগ্যাস অফ করে ১০ মিনিট রেখে দিন৩ -৪ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করুন। Video Notesমাথায় রাখবেন যদি জল বেশী শুষে যায় তাহলে আলদা করে জল দিতে পারেন। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share