ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতি (স্বাদ থাকবে অটুট) রান্নাবান্না ও রূপচর্চা by admin - May 7, 2020May 7, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share খাদ্য রসিক বাঙালির দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছ না হলে চলে না, রোজ ভাত পাতে একটু মাছ চাই। অনেকেই কাঁচামাছ সংরক্ষণ করে ফ্রিজে রেখে দেয় কিন্তু দীর্ঘদিন কাঁচামাছ ফ্রিজে থাকলে তা গন্ধ লাগে এমনকি মাছের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমরা যদি ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতি সঠিক জেনে রেফ্রিজারেশন করি তাহলে কাঁচামাছ সতেজ, টাটকা ও স্বাদযুক্ত থাকবে। প্রতিদিনের ব্যস্ততম জীবনে রোজ বাজার গিয়ে মাছ আনা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, তাই কাঁচা মাছ সংরক্ষণ করে রেখে দেয় । আর এই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করলে ও অনেকেই সঠিকভাবে ফ্রিজের ব্যবহারজানে না। তাই, আজকের আলোচ্যবিষয় – ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতি: আলোচনার সাথে সাথে আমরা দেখে নেবো – ফ্রিজে সংরক্ষণের পদ্ধতিফ্রিজের সঠিক ব্যবহারফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতিতে দুধের ব্যবহার ফ্রিজে সংরক্ষণের পদ্ধতি : আজকাল বেশিরভাগ পরিবারে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকুরীজীবি তারা একসাথে একমাসের মাছ, মাংস এমনকি শাক সবজি, ফল মূল কিনে নিয়ে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করে রেখে দেয়।শুধু সংরক্ষণ করলেই হবে না, সঠিক পদ্ধতি, সঠিক নিয়ম জেনে সংরক্ষণ না করলে খাবারের পুষ্টি গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই, ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ : ১. খাবার খোলা অবস্থায় না রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ২. বড়ো কন্টেইনারে না রেখে ছোট ছোট বক্সে রাখুন। ৩. খাবার ভালো করে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে এতে খাবার অনেকদিন ভালো থাকবে। ৪. বাজার থেকে কিনে আনার পর যা কিছু আগে ব্যবহার হবে তা নরমাল এবং যা কিছু পরে ব্যবহার হবে তা ডিপ ফ্রিজে রাখুন। ৫. সবজির জায়গায় সবজি রাখুন ও রান্না করা খাবার আলাদা করে রাখুন, তবেই খাবার ভালো থাকবে। অনেকেই কাঁচা ও রান্না করা খাবার একসাথে রাখে, তাই খাবার গন্ধ ও স্বাদহীন লাগে। ৬. কাঁচা মাছ-মাংস বা সবজি যা কিছুই রাখবেন আগে ভালো করে ধুয়ে তারপর ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে সতেজ ও টাটকা থাকবে। ৭. কাঁচা মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে ১ ডিগ্রি কম তাপমাত্রায় রাখুন। রান্না করা খাবার নরমাল ফ্রিজে রাখুন। ৮. দুধ ১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফ্রিজের নীচের তাকে সংরক্ষিত রাখুন । আর টকদই ও ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখুন দীর্ঘদিন। ফ্রিজের সঠিক ব্যবহার : ফ্রিজে খাবার আলাদা আলাদা তাপমাত্রায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে কমাতে বাড়াতে হবে। ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখতে হবে।ফ্রিজে বি পি এ ফ্রি প্লাস্টিকের কনটেইনার বা এয়ার টাইট কনটেইনারে খাবার রাখুন তাহলে খাবার ভালো থাকবে।একটুকরো কাটা লেবু ফ্রিজে রেখে দিন।ফ্রিজ বারবার বন্ধ করা ও খোলা উচিত না।সপ্তাহে অন্তত একবার ফ্রিজের সমস্ত জিনিস বাইরে বার করে ফ্রিজ বন্ধ করে ব্রেকিং সোডা মেশানো জল দিয়ে ফ্রিজ পরিস্কার করুন এতে ফ্রিজে দুর্গন্ধ থাকবে না। ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতি : বেশিদিন কাঁচামাছ ফ্রিজে রাখলে, মাছের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এমনকি আঁশটে দুর্গন্ধ ও ছড়ায়। তাই, ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতিসঠিকভাবে অ্যাপ্লাই করলে মাছ দীর্ঘদিন সতেজ ও টাটকা থাকবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক – ১. যে কোনও মাছ ফ্রিজে রাখার আগে দেখে নিতে হবে মাছটা কতটা চর্বি যুক্ত। কম চর্বিযুক্ত মাছ ৫-৬ মাস অবধি আর বেশি চর্বিযুক্ত মাছ ২-৩ মাস অবধি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। ২. বাজার থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাছ প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে লবণ, হলুদগুড়া ও লেবুর রস মাখিয়ে ছোট ছোট প্যাকেট বা এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে তারপর ফ্রিজে রাখুন। ৩. মাঝারি আকারের মাছ আস্ত রাখুন আর বড়ো আকারের মাছকে টুকরো করে নিন। ৪. রান্নার আগে প্যাকেট থেকে বার করে মাছ ভিজিয়ে রাখুন তারপর রান্না করুন। ৫. কাঁচামাছ ১ ডিগ্রির কম তাপমাত্রায় লবণ হলুদ মাখিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখলে তা লবণাক্ত হয় না। আঁশটে গন্ধওয়ালা মাছে একটু ভিনিগার মাখিয়ে রাখুন, দুর্গন্ধ অনেকটা কমে যাবে। ৬. আরেকটি পদ্ধতিতে ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখা যায় মাছের নাড়িভুড়ি আঁশ পাখনা ফেলেদিয়ে জলে ধুয়ে নিতে হবে। এবার ২০-৮০ ভাগ ক্লোরিন মেশানো জলে ডুবিয়ে রেখে তারপর ১০-১২ ভাগ সোডিয়াম ট্রাইফসফেট দ্রবণে ১০ মিনিট রাখার পর জল ঝরিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। রেফ্রিজারেটরে রাখা সংরক্ষিত মাছ বাইরে বার করে, বরফ হালকা গলতে শুরু করলে প্যাকেট থেকে ছাড়িয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পুরো মাছের থেকে যতক্ষণ না বরফ গলছে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর রান্না করুন। আরও পড়ুন – ভোজন রসিক বাঙালির জন্য আজকের সমস্ত রেসিপি হলো পোস্ত বাহারী ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতিতে দুধের ব্যবহার : ফ্রিজে রাখা কাঁচামাছের স্বাদ অক্ষুন্ন রাখতে দুধের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। দুধ কিভাবে মাছের তাজা স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে আসুন দেখা যাক : প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বাইরে বার করে মাছের ঠান্ডা কমে গেলে আস্ত মাছ হলে টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। আর টুকরো করা মাছ হলে, মাছের টুকরোগুলো একটি পাত্রে দুধ মেশানো জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরিস্কার জলে ধুয়ে নিন। দেখবেন ফ্রিজে রাখা মাছ বাজার থেকে সদ্য কিনে আনা মাছের মত টাটকা ও সতেজ লাগবে এবং স্বাদ ও একই থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বিভিন্ন তথ্য সংগৃহীত ফ্রিজে কাঁচা মাছ রাখার পদ্ধতি আলোচিত হল।আর ও গুরুত্বপূর্ণ হেলথ টিপস, তথ্য ও মজার সব রেসিপি পেতে আমাদের পেজটি লাইক করুন। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share