হনুমান চল্লিশা: যা পাঠে জীবনে সকল সংকটমোচন ঘটে সহজেই রাশিফল ও ভবিষ্যৎ by admin - November 22, 2020November 22, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share হনুমান চল্লিশা হল রামায়নের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত অবধী ভাষায় প্রচলিত ভক্তি মূলক স্তোব। আনুমানিক ১৫৭৫সনে তুলসী দাস কতৃক রচিত হয়। চল্লিশ টি স্তবে হনুমানজীর মাহাত্ম্য বর্ননা করা হয়েছে তাই একে হনুমান চল্লিশা বলা হয়। হনুমান চল্লিশা মূলত হিন্দি ভাষার ভাষীদের মধ্যে নয় সমগ্র হিন্দু জাতির মধ্যে অধিক প্রচলিত একটি স্রোস্ত্র। হনুমান রামায়ণে শুধু মাত্র শ্রীরাম এর সমস্যার সমাধান করেছিলেন তাই নয়। ভক্তি ভোরে ডাকলে ভক্ত হৃদয়ে এসে সকল সমস্যার সমাধানে ব্রতী হন। পবন পুত্র হনুমান তুষ্ট হয়ে আমাদের বিদ্যে সুবুদ্ধি প্রদান করেন আর আমাদের ক্লেশ সকল প্রকার কুপ্রভাব কে হরণ করেন। এটি পাঠ করার থেকে পূন্য জিনিস আর কিছু তে নেই। মনের সকল মলিনতা কেটে যায়। চিত্তে সত্ত্বগুণ আসে।ব্যবহারে সাত্ত্বিকতা বড়ে। বিপদে পড়তে হয়না। বিপদে পড়লেও বেশি ক্ষন থাকে না। এটি পাঠনে, শ্রবনে ,ও মননের ফল স্বরূপ মনের দুই, শোক, ব্যাথা, বেদনার বিনাশ হয়। অশুভ কর্ম বন্ধন থেকে মন মুক্তি লাভ করে এবং সংসারের সবকিছু মঙ্গলময় হয়ে ওঠে। হনুমান চল্লিশা রচনার ইতিহাস: পুরাণ মতে জানা যায় একদা মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব রামভক্ত তুলসী দাসকে শ্রীরামের দর্শন করতে বলেন। কিন্তু ভক্তির চরম শিখরে উত্তরণ না করে পারলে যে ভক্তের সম্মুখে শ্রীরাম অবতীর্ণ হন না। একথা শুনে ঔরঙ্গজেব তুলসী দাসকে কারারুদ্ধ করার আদেশ প্রেরণ করেন। কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তিনি হনুমান সম্পর্কে যা অনুভব করেন তাই লিখতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে লেখকের লেখনী গুনে কল্পনা শক্তিতে সৃষ্টি হয় এক শক্তির আধার যা হনুমান চল্লিশা নামে আপামর হিন্দু কাছে পরিচিত।শাস্ত্রকারগণ মনে করেন এই হনুমান চল্লিশা কাছে থাকার কারণে কারাগারে তুলসী দাসের কোনো রূপ কষ্ট অনুভূত হয়নি। হনুমান চল্লিশার অন্তর্নিহিত অর্থ: হনুমান চল্লিশায় তাঁর গুনগান করে বলা হয়েছে যে,শ্রীরাম এর দূত অতূলনীয় বল ও তেজের অধিকারী,যিনি জ্ঞান ও গুনের সাগর রূপী, ত্রিভুবনেই উজ্জ্বল দ্যুতি স্বরূপ, যাঁর হস্তে বজ্র এবং ধ্বজা বিরাজিত, স্কন্দে মুঞ্জাতৃণ নির্মিত উপবীত শোভামান শ্রীরাম এর সেই প্রিয় পাত্রকে সর্বদা নমস্কার ও ভজন করি। যাঁর হতে মুমুক্ষুর জ্ঞান উৎপন্ন হয় এবং অজ্ঞান নাশ হয়,যাঁর আর্শীবাদে বিঘ্ন নাশ হয়, সর্ব কার্যসিদ্ধি হয়, জীবনে পার্থিব সমস্থ বস্তু পাওয়া যায়, সর্বপ্রকার রোগ পীড়াদি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় সেই সংকট মোচনকারী পবন পুত্র বজ্রঙ্গবলী কে সর্বদা নমস্কার ও ভজন করি। কেন পাঠ করবো হনুমানের চল্লিশা: হনুমান চল্লিশা পাঠ করার মধ্যে আমাদের হৃদয়ে এমন এক শক্তির ধারা প্রবাহিত হয়। যা সকল নেগেটিভ শক্তি কে সরিয়ে মনকে পজেটিভ শক্তি তে পরিপূর্ণ করে তোলে।হনুমান চল্লিশা পাঠ করে ভক্ত হৃদয় অশুভ কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। জগৎ সংসারে সবকিছু মঙ্গলময় হয়ে ওঠে। সৌভাগ্য সর্বক্ষণের সঙ্গী ওঠে ও সমস্ত মনস্কামনা পূর্ন হয়। হনুমান চল্লিশা পাঠ করার সময়: ঈশ্বর কে ডাকার কোনো সঠিক সময় নেই।ভক্তি ভরে ঈশ্বরের কে ডাকলে তৎক্ষণাৎ ঈশ্বর ভক্তের ডাকে সাড়া দেন। বহু শাস্ত্রকারগণের মতে, দিনের বেলাই হনুমান চল্লিশা পাঠ করার থেকে রাতের বেলা পাঠ করা বেশি শ্রেয়। হনুমান চল্লিশা মন্ত্র পাঠ: হনুমান চল্লিশা পাঠ করার উপকারিতা: ভক্তি ভোরে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব দূর হয়ে জীবন পজেটিভ শক্তি তে ভরে ওঠে।মানসিক শান্তি ও মনের জোর বৃদ্ধি পায়। দৈনন্দিন জীবনে আমার নিজের অজান্তেই যে সকল পাপ করে ফেলি প্রত্যহ হনুমান চল্লিশা পাঠ করার ফলে তা অধিকাংশই খন্ডন হয়ে থাকে। এটি পাঠ করার ফলস্বরূপ মানুষের মনে সদানন্দ বিরাজমান থাকে।পরিবারিক বিবাদ বিবাদ মিটে গিয়ে পরিবারের সদাসুখ বিরাজমান থাকে, সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। নিত্যদিন ভক্তি সহযোগে এটি পাঠ করার মধ্য দিয়ে হনুমানজীর আরাধনা করলে সংসারে অভাব অনটন প্রবেশ করতে পারে না। সুখ-শান্তি বজায় থাকে। বাড়িতে থাকা বাস্তুদোষ ও নেগেটিভ শক্তি র প্রভাব অনেকাংশেই কমে যায়। নানাবিধ বাধার জাল থেকে মুক্তি মেলে।শাস্ত্রকারগণের মতানুসারেমতানুসারে, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার, শনিবার রাতে ভক্তি ও নিষ্ঠা সহযোগে এটি পাঠ করলে সর্ব কর্মে কার্যসিদ্ধি লাভ সম্ভব। এবং কর্ম জীবনে বিশেষ উন্নতির অধিকারী হওয়া যায়। রোজকার ভাবে এটি পাঠ করার ফলে আমাদের মনে স্ট্রেস লেভেল কমে যায়, মানসিক অবসাদ দূর হয়। মন আনন্দ পূর্ন ও খুশিতে ভরপুর হযে ওঠে। আরও পড়ুন – ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী পরিশেষে বলা যায়, ভক্তি ভরে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে, পূজা ও প্রার্থনা করলে হনুমানজী স্বয়ং ভক্ত দের অযাচিতভাবে কৃপা করেন।সমস্ত মনস্কামনা পূরন করে দেন।পবন পুত্র হনুমান আমাদের চিত্তবৃত্তিকে আরো সুন্দর প্রেমপূর্ণ করে তুলুন এই পার্থনা কোরে তাঁর চরনে বিনম্র প্রনাম জানাই। আমাদের আধ্যাত্মিকতা পূর্ণ লেখনী টি ভালো লাগলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।ভুল-ত্রুটি মার্যনীয়। আমাদের সাথে থাকুন পরবর্তী সব এমন সুন্দর লেখা পেতে।ধন্যবাদ।। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share