কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাক্সিন কোনটি এগিয়ে সংক্রমণ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে? শরীর ও স্বাস্থ্য by admin - May 1, 2021May 1, 20210 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share ১ মে থেকে খোলাবাজারে 50% শতাংশ ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দিয়েছে সরকার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকা করনের জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে রেজিস্ট্রেশন পর্ব।ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সরকারি ও বেসরকারি দুই হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে।ভারতের এখন দুই রকম ভ্যাকসিন বা টিকা উপলব্ধ। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন, জেনে নিন বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী কোন ভ্যাকসিনটির কার্য ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি,ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সংক্রমনের সম্ভাবনা ঠিক কতটা, কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাক্সিন কোন প্রতিষেধক নিলে কাজ হবে বেশি? জেনে নিন এই দুই টাকার মধ্যে পার্থক্যগুলি ঠিক কি। Table of Contents কি কি উপাদান রয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন?পরীক্ষাটিকাকরণ এর নিয়মাবলীএফিকেসিপার্শ্ব প্রতিক্রিয়াখরচকোন টিকাটি আপনি বাছবেন কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাক্সিন? কি কি উপাদান রয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোজেনেকার এর ভারতীয় সংস্করণ হলো কোভিশিল্ড।বর্তমানে এই টিকা প্রস্তুত করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট, এই ভ্যাকসিনটি রিকম্বিন্যান্ট,এই টিকাতে উপস্থিত আছে রেপ্লিকেশনে অক্ষম শিম্পাঞ্জির অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর যা সারস্-কোভি -২ (করোনা ভাইরাস)এর স্পাইকে উপস্থিত গ্লাইকোপ্রোটিনকে অনুকরণ করছে।এটি উৎপাদন করা হচ্ছেজিনগতভাবে পরিবর্তিত মানব ভ্রূণ কিডনি কোষে।অন্য ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেক দ্বারা নির্মিত কোভ্যাক্সিনে নিম্নলিখিত উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: নিষ্ক্রিয় বা মৃত কোভিদ ভাইরাসটি এবং অন্যান্য নিষ্ক্রিয় উপাদান যেমন অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইডজেল, টিএলআর ৭/৮ অ্যাগ্রোনিস্ট (ইমিডাজোকুইনোলিনোন) ২-ফেনোক্সেথানল ২.৫ মিলিগ্রাম, এবং ফসফেট। পরীক্ষা কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পরীক্ষা করা হয়েছে ভারতীয়দের উপরেই।প্রথমে ফেজ 1 সম্পূর্ণ করার পরে ফেজ ২ ও ফেজ ৩ এর পরীক্ষা করা হয়। ফেজ ১ এবং ফেজ ২ ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে, প্রায়(প্রথম পর্যায়ে ৩০০ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৮০) COVAXIN এর ২-ডোজ দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পর্যায় 3 ক্লিনিকাল ট্রায়ালে২৫৮০০ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চলছে পরীক্ষা।অন্যদিকে, কোভিশিল্ড এর গবেষণা শেষ হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসেই এই টিকার পরীক্ষা হয়েছে ব্রাজিল,আফ্রিকা,দক্ষিণ আমেরিকা এবং ভারতের মানুষের উপর।কোভিশিল্ড এর পরীক্ষা হয়েছে অনেক বেশি জনসংখ্যা উপর, কিন্তু এই দুইটি কার ক্ষেত্রেই ভাইরাস এর পরিবর্তিত স্ট্রেন এর উপরে কোনরকম পরীক্ষা হয়নি যেহেতু সেই সময়ে এই পরিবর্তিত স্ট্রেনগুলির সন্ধান পাওয়া যায়নি। টিকাকরণ এর নিয়মাবলী বর্তমানে দুটি টিকাই সমান পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে।প্রথম পর্বের টিকাকরণ এর মাঝে চার থেকে আট সপ্তাহ বিরতি রেখে দ্বিতীয় পর্বের টিকা দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বের এবং দ্বিতীয় পর্বের মাঝে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ ব্যাবধানে থাকতে পারে অন্যদিকে কোভ্যাক্সিন এর ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৬ ব্যবধান থাকতে পারে এই ব্যবধান বিশেষ ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহ অব্দি করা যায়।ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে আরো দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে সম্পূর্ণরূপে দেহের ইমিউনিটি গঠন হতে। এফিকেসি প্রথমেই বলি এফিকেসি এবং কার্যকারিতা দুই শব্দের অর্থ সমান নয় এফিকেসি বলতে বোঝায় হাজার জন মানুষের মধ্যে যদি ৫০০ জন মানুষ টিকা নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হন সেই ক্ষেত্রে সেই টিকার এফিকেসি হলো ৫০%। কিন্তু কার্যকারিতা বিভিন্ন ব্যক্তির দেহে বিভিন্ন রকম হতে পারে তার ইউনিটির, ডায়েট এবং জীবনযাপন এর ধারা উপর নির্ভর করে।কোভ্যাক্সিনের এফিকেসি ৮১ শতাংশ, অন্যদিকে কোভিশিল্ড এর প্রথম পর্বের পর এফিকেসি ৭০% হলেও দ্বিতীয় পর্বের পর ৯০% এফিকেসি দেখা যাচ্ছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সারাবিশ্বের অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বহু মানুষে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে হাতেগোনা যার মধ্যে আছে রক্ত জমাট বেধে যাওয়া এবং স্নায়ুর জটিলতা। কিন্তু ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে এমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এখনও দেখা যায়নি খুবই কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে স্নায়ুর জটিলতা দেখা দিয়েছে।কোভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সেগুলির মধ্যে হলো জ্বর, মাথা ব্যাথা,বমি বমি ভাব ইত্যাদি খুব মারাত্মক কোনো রকম প্রশ্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দুটি টিকার ক্ষেত্রেই দেখা যায়নি। বর্তমানে পরিবর্তিত ভাইরাস এর ক্ষেত্রে এর পরীক্ষা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো বিশেষ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে। খরচ কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন টিকা দুটি সরকার ১৫০-২০০ টাকায় কিনতে পারবে।এছাড়া কোভিশিল্ড রাজ্য কিনতে পারবে ৩০০ টাকায় এবং বেসরকারী হাসপাতাল কিনতে পারবে ৬০০ টাকায়। কোভ্যাকসিন রাজ্য কিনতে পারবে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলি কিনতে পারবে ১২০০ টাকায়। কোন টিকাটি আপনি বাছবেন কোভিশিল্ড নাকি কোভ্যাক্সিন? উপরের সব তথ্য পড়ার পর আপনার যেটি নিজের জন্য সঠিক মনে হবে সেই টিকাটি আপনি নিতে পারেন। টিকা নেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে কোউইন নামক একটি অ্যাপ দ্বারা রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে ১ মে থেকে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য। অবশ্যই রেজিস্টার করতে ভুলবেন না আর টীকাকরণ কে এড়িয়ে যাবেন না। আরও পড়ুন – তুলসী পাতার উপকারিতা: জেনে নিন তুলসী পাতা থেকে কী কী রোগ সেরে যায় আশাকরি অনেক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারলাম ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। উৎস: Covishield, Covaxin Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share