সৌভাগ্যবতী নারী চিনুন শরীরের এই বিশেষ অঙ্গগুলি দেখে রাশিফল ও ভবিষ্যৎ by admin - April 29, 2020April 29, 20201 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share নারী মানেই সৌন্দর্য্যের প্রতীক। নারী শক্তির কাছে যুগে যুগে পরাজিত হয়েছে নানান অশুভ শক্তি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে নারীরা আজও অবহেলিত। অথচ নারীদেহের কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে কেন্দ্র করে পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। আর এই অঙ্গগুলোই বলে দেয় সেই নারী কতখানি সৌভাগ্যবতী । সৌভাগ্যবতী নারী চিনুন: ১. লম্বা চুল:- বহু বছর আগে কবি জীবনানন্দ দাশ তার লেখা “নাটোরের বনলতা সেন” কবিতায় চুলের প্রশস্তি নিয়ে লিখেছিলেন, “চুল তার কবেকার অন্ধকারের বিদিশার নিশা “। লেখাটি আজো সমান ভাবে আমাদের মানব মননকে স্পর্শ করে। নারী চুলই নারীর অন্যতম সৌন্দর্য্য। দীর্ঘ কেশধারী নারীকে বরাবরই তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভাগ্যশালী বলে মনে করা হয়। লম্বা চুলের নারী যে পরিবারে থাকে,সেই পরিবারে কখনোই আর্থিক সমস্যা দেখা দেয় না। কালো ঘন লম্বা চুল দেখতেও যেমন ভালো লাগে, সেই নারীকে সুলক্ষনাও বলা হয়। ২. বড়ো চোখ:- ডাগর ডাগর মনমোহিনী চোখের একটুখানি চাউনিতে কতো নারী যে অসংখ্য হৃদয়ে তীর বিদ্ধ করেছেন তার ইয়াত্তা নেই। বড়ো চোখের অধিকারি নারীদের অবর্ণনীয় সুন্দর লাগে। বড়ো চোখের নারীরা তার স্বামীকে খুবই ভালোবাসেন। বড়ো চোখের নারীদের গৃহে লক্ষী সর্বদা বিরাজমান থাকে। পরিবারে ধনসম্পদের আধিক্য থাকে। এই বড়ো চোখের নারীরা তাদের স্বামীকে কখনোই ঠকায়না। বরঞ্চ পরিবারের সঙ্কটকালে এই নারীরা পরিবারের আপনজনদের উপদেশ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। আর এই উপদেশে গৃহে শান্তি বজায় থাকে। ৩. লম্বা গলা : – লম্বা গলার অধিকারিণীরা দেখতে যেমনই হোন না কেন, তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী হন। তাদের উপস্থিতিতে গৃহস্থের প্রভূত উন্নতি হয় এবং গৃহে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। যে নারীর গলা লম্বা আকৃতির হয় তারা মানুষকে খুব সহজেই চিনতে পারে। এরফলে গৃহে যদি কোনো ক্ষতিকারক মানুষের আনাগোনা ঘটে, তারা অচিরেই তা আন্দাজ করতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেক সময় গলার স্বরও নির্ভর করে। মিষ্টি স্বরের গলা লম্বা নারী বিশেষ ভাবে সৌভাগ্যবতী হিসেবে আমাদের সমাজে চিহ্নিত। ৪. লম্বা আঙুল:- যেসব নারীদের লম্বা আঙুল হয় তারা খুব বুদ্ধিমতি হন। পড়াশোনা শেখার ব্যাপারে তাদের অত্যন্ত আগ্ৰহ থাকে। এই নারীরা মীতব্যয়ী হয়ে থাকে। তাদের হাতে অর্থ এলে, সেই অর্থকে কীভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করেন। বিশেষ করে এই নারীদের বেহিসেবী পুরুষের সাথেই আলাপ হয়ে থাকে। আর তখন সেই পুরুষ এই নারীর সঙ্গ লাভে হিসেবী হয়ে ওঠেন। এই নারীরা উচিত বক্তব্যকে সর্বদা আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন। ৫. লম্বা নাক:- যে সমস্ত নারীদের নাক লম্বা হয় তারা খুব শান্ত স্বভাবের বুদ্ধিমতি হন। যেকোনো বৃহৎ সমস্যাতে নিজের মাথা ঠাণ্ডা রেখে ধীরে সুস্থে সমাধান করার ক্ষমতা এদের আছে। শৌখিন বিষয়ে এদের টাকা খরচ করার প্রবনতা থাকে। তবে তারা কখনোই বাজে খরচ করেন না। এই নারীরা গৃহকর্মে নিপুণ হওয়ার পাশাপাশি, ঘর গোছাতেও খুব ভালোবাসে। এই নারীরা স্বামী-সন্তান ও পরিবারের সকলকে নিয়ে সুখে দিন কাটায়। আর বিপদে সকলের পাশে থাকে। ৬. বড়ো কান:- যদি কোনো নারীর কান লম্বা ও বড়ো হয়, তাহলে তাদের প্রতি ভাগ্যদেবতা প্রসন্ন হন। এই নারীদের আয়ু দীর্ঘ হয় ও বাস্তব জীবনে চরম সৌভাগ্যবতী হয়। এছাড়া এই নারীরা নিজেদের জীবনে বহু মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে থাকে। কানের সৌন্দর্য্য আমরা হয়তো বেশিরভাগ সময় খেয়াল করিনা, কিন্তু এটি খেয়াল করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই ছোট কানের নারীকে। যে ছোট কান অনেকখানি খরগোশের মতোন দেখতে। এই নারী চতুরতা হয়তো অনেকখানি বেশি, কিন্তু ভালো কাজের চাইতে, হিংসাত্মক কাজে এরা মূলতঃ সেই চতুরতাকে ব্যবহার করে। ৭. নাভি :- বিভিন্ন নারীর নাভির গঠন বিভিন্ন আকারের হয়। কারুর বড়ো ও কারুর ছোটো বা মাঝারি হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু নারীর নাভি বড়ো হয়ে থাকে ও গভীর হয়ে থাকে, তাদের কোনোদিন ধনসম্পদের অভাব পরিলক্ষিত হয় না। এই নারীরা শুভলক্ষনের প্রতীক রূপে বিবেচিত হয়। এই নারীদের বিচক্ষণতার জুরি মেলা ভার। পারিবারিক সমস্ত রকম জটিলতায় নিজেদের হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের স্বার্থে। ৮.পা:- পায়ের গঠন নারীদের শ্রী ফুটিয়ে তোলে। তাই যে নারীদের পা অন্য নারীদের পায়ের তুলনায় লম্বা হয় বা সুন্দর হয়, তারা যে কাজে হাত দেয় সেই কাজ সফলতা অর্জন করে। পা মেয়েদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভলক্ষণ বা লক্ষীর চিহ্ন। তবে পায়ের সাথে সাথে আঙুলও জড়িত। ছড়ানো আঙুল কখনোই শুভলক্ষণ নয়। পা বড়ো হলেও ছড়ানো আঙুল হলে বাস্তবে তা অলক্ষীর সংঙ্গা বহন করে। আরও পড়ুন – হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বিচার | নিজের ভাগ্য নিজে জানুন ৯. ভ্রু:- যে নারীর ভ্রু চোখের থেকে বেশি দূরত্বে থাকে সে একটু স্বাধীনচেতা হয়। নিজের পছন্দ ও অপছন্দকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই নারী বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়। এছাড়াও এই নারীরা সৃজনশীল হয়ে থাকে। এই নারীরা মূলতঃ সঙ্গীতপ্রেমী ও ছবি আঁকতে ভীষণ ভালোবাসেন। নারীহীন পৃথিবী হতে পারেনা। এই ধরিত্রীকেই আমরা মাতৃরূপে পূজা করি। আর তাই নারীর সৌন্দর্যের সাথে সাথে তার শারীরিক গঠনগুলি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে শুভলক্ষণের ইঙ্গীত বোঝাতে। আজকের লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share