মেয়ে পটানোর সহজ উপায়: এই ১০ টি টিপ্স মেনে চলুন সম্পর্ক by admin - October 7, 2020October 7, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share ভালোবাসা হল পবিত্র একটি অনুভূতি আর ভালোবেসে নারী সঙ্গ কোন পুরুষই না চায়! একাকীত্ব সকলকেই তারা করে বেড়ায়, বেশিরভাগ পুরুষের জীবনে নারীর অভাব স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর। তাই নারীই পারে তাকে ভালোবাসার জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে। পুরুষরা ভালোবাসার কাঙ্গাল হয়, তাই পুরুষ জীবনে নারীদের প্রয়োজনীতা লক্ষণীয়। কথায় বলে পুরুষদের সাফল্যের পিছনে নারীর অবদান অনস্বীকার্য কিন্তু জীবনে নারীর আগমন না ঘটলে সাফল্য হবে কি করে? এমন অনেক পুরুষই আছে যারা জানেন না কি ভাবে মেয়েদেরকে নিজেদের জীবনে আকর্ষিত করতে হয়, ভালোবাসার জালে বাঁধতে হয়। তাই সেই সকল পুরুষদের আজ মেয়ে পটানোর উপায় ও ফেসবুকে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় এর পাঠ শেখাবো। মেয়ে পটানোর ১০ টি উপায়ফেসবুকে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় আজ যে উপায়সমূহ নিয়ে কথা বলব সে বিষয়গুলি কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে নয়তো সুতো আর লাটাইতে বাঁধতে পারবেন না। চলুন আর অপেক্ষা না করে মেয়ে পটানোর উপায় এবং ফেসবুকে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলচনায় প্রবেশ করা যাক। মেয়ে পটানোর ১০ টি সহজ উপায় অনেকেরই প্রথম দেখায় কোন মেয়েকে মনে ধরে। কিন্তু তারা বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন না। আপনি নিজেও দ্বন্দ্বে ভোগেন যে মেয়েটি আদৌ আমার ডাকে সাড়া দেবে? কি ভাবে সে পটবে। তাই আপনাদের এই মনের দ্বিধাকে দূর করে সমাধানের জন্য রইল এই ১০ টি উপায়: ১) কোন মেয়ের সাথেই প্রথম দেখায় বেশী খোলাখুলি হতে যাবেন না। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কথা বলবেন না, ফলে মেয়েটি আপনাকে বাচাল ভাবতে পারে, আর মেয়েরা বেশী কথা বলা পছন্দ করে না, তাই বেশীর ভাগ সময় শ্রোতা হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখুন । কিন্তু যদি দেখেন মেয়েটি কিছুই বলছে না তাহলে প্রথম ধাপটিতে আপনিই না হয় পা দিন। ২) কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝে তার প্রশংসা করুন, কিন্তু হ্যাঁ মনে রাখবেন সেটি যেন যুক্তিযত হয়, মেয়েটির যেই গুনটি আছে সেটি নিয়েই প্রশংসা করুন, কারন অনেক মেয়ে আছে যারা অযথা মিথ্যা প্রশংসা পছন্দ করে না। তাই এই ক্ষেত্রে সাবধানে পা বাড়াবেন। ৩) প্রথম দেখাতেই ছোট কিছু উপহার দিন, কারন মেয়েরা দামী উপহারের থেকেও বেশী সময় , গুরুত্বকে মূল্য দেয়। কোন দামী উপহার দিয়ে তাকে অপ্রস্তুতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। ছোট উপহারের মধ্যে বেস্ট হচ্ছে একগুচ্ছ গোলাপ। ৪) মেয়েটির সাথে তার জীবনে ঘটা সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিন, তাকে বোঝান আপনি তার পাশে আছেন সর্বক্ষণ, বিপদে আপদে আপনি তার হাত ছাড়বেন না। আপনি চাইলে নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া কোন খারাপ পরিস্থিতির কথা বলতে পারেন। আপনি কিভাবে সেই পরিস্থিতি কাটিয়েছেন তাতে মেয়েটিও ভরসা পাবে। ৫) মেয়েরা একটু অগোছালো প্রকৃতির ছেলে ভালোবাসে, তাই আপনি মিস্টার পারফেক্টশন এটা জাহির করলে সর্বনাশ। তাই বলে একদম ছেড়া ফাটা জামা পড়ে চলে যাবেন না দেখা করতে। সুবাসযুক্ত মনমাতানো পারফিউম মেখে যাবেন। জামাকাপড়ের মধ্যে যেন একটু আভিজত্য ও রুচিসম্পন্নতার ছোঁয়া থাকে। কারন কথায় আছে ‘ফাস্ট ইম্প্রেশন ইস দ্যা লাস্ট ইম্প্রেশন’। ৬) অনেক মেয়ে আছে যাদের একটু বেশী দেমাগ, কিছুতেই আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না তাঁদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা ট্রিটমেন্ট । মাইনাসে মাইনাসে প্লাস হয় জানেন তো সেটাই এপ্লাই করুন। মেয়েটিকে একদমই পাত্তা দেবেন না। পারলে তার সামনে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলুন , হাসাহাসি করুন, অতেই কাজ হবে। মেয়েটি কিন্তু ভেতর ভেতর জ্বলতে থাকবে। দেখবেন আপনাকে বেশী কষ্ট করতে হচ্ছে না, সেই মেয়ে নিজেই এসে কথা বলছে। ৭) যদি দেখেন মেয়েটি বেশী ভাব গম্ভীর। তাহলে মাঝে মাঝে একটু রসিকতা করুন। কিন্তু ভুলেও কোন ননভেজ জোকস বলবেন না, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হাসির জোকস শুনিয়ে তাকেও হাসান নিজেও হাসুন, কে বলতে পারে আপনার মুখের হাসিতে মেয়েটি আকর্ষিত হয়ে পড়ল। ৮) মেসেজ করে তার খোঁজ খবর নিন, কিন্তু সেটি করতে গিয়ে বিরক্ত করে বসবেন না, কিছু কিছু বিষয় যানতে মেসেজ করুন- সে বাড়ি পৌঁছেছে কিনা, তার শরীর কেমন আছে, তার পরিবারবর্গের খোঁজ নিন। রাস্তায় কোন অসুবিধার মধ্যে পড়েছে কিনা জানুন, কোন অসুবিধা পড়লে তাকে নিতে চলে যান, তার কোন জরুরি বিষয়ের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা মেটান। আর অবশ্যই গুড মর্নিং এবং গুড নাইট লিখতে ভুলবেন না। ৯) তার হ্যাঁ তে হ্যাঁ ও না তে না বলা প্র্যাকটিস করুন। কিন্তু যদি দেখেন সে ভুল পথে অগ্ৰসর হচ্ছে তাকে সঠিক রাস্তা দেখান, কিন্ত ভুলেও তর্ক বিতর্কে যাবেন না, নিজেকে সঠিক প্রমান করার প্রচেস্টায় থাকবেন না। ১০) যদি এতো কিছু করেও কোন কাজ না হয়, তাহলে আঙুল বাঁকান, কারন ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়’। মেয়ের মা বা বাবাকে পটান। যদি সুযোগ হয় দুজনকেই পটিয়ে নিন। কারন তারা পটে গেলে আপনার কাজ সহজ হয়ে পারে। কে বলতে পারে আপনার হিল্লে হয়ে গেল। এই পদ্ধতিগুলি হল মেয়ে পটানোর উপায়ের প্রাথমিক ধাপ। এই ধাপ পেরতে পারলে আপনার সামনের রাস্তা পুরো ফাঁকা। তাই প্রথমে জটিল পথে না হেটে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় গুলি অনুসরন করুন। আরও পড়ুন – মেয়েদের সহবাসে রাজী করানোর কৌশল ফেসবুকে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় আপনি সোশ্যাল মিডিয়েতে অ্যাক্টিভ থাকেন বটে কিন্তু সেই বিষয়ক সঠিক ব্যবহারের পন্থা আপনার অজানা । ফেসবুকে পছন্দের মেয়েকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যা খুশি মেসেজ করে, হুটহাট কিছু বলে ফেললে, হাই হ্যালো পাঠিয়ে বিরক্ত করলে আপনি নিশ্চিত তার প্রোফাইল থেকে ব্লক হয়ে যাবেন। তাহলে ব্লক যাতে না হন, তার জন্য কি করণীয়? ফেসবুকে মেয়ে পটানোর সহজ উপায় এবার শিখে নিন। করবেন না: ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েই সর্বক্ষন হাই, হ্যালো, কি করছো, ব্যস্ত আছো, বি এফ আছে? এই ধরনের কথা গুলো একদম বলবেন না। এই কথাগুলো শুনতে মেয়েরা একদম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। করবেন: রিকোয়েস্ট পাঠানোর সাথে সাথে মেসেজ না করে সুযোগের জন্য অপেক্ষা করুন, কোন উৎসবের শুভেচ্ছাকে হাতিয়ার করে , বা জন্মদিন উপলক্ষে মেসেজ করুন, অল্প অল্প করে মেপে কথা বলুন, নিজের পারসোনালিটি বজায় রখুন, মেয়েরা এতে খুশি হয়। করবেন না: লাইক ও কমেন্ট করার বিষয়ে ওল্ড ফ্যাশান থাকবেন না। সব ছবিতে লাইক অপশন বাছবেন না। সকলের সামনে কমেন্ট করেই শুধু ছেড়ে দেবেন না। করবেন: লাইক অপশন এখন সত্যি ওল্ড ফ্যাশন তাই লাভ ও কেয়ার রিয়েক্ট দিতে শিখুন, মেয়েরা খুশি হবে, কারন লাইক পাওয়ার থেকে লাভ ও কেয়ার পেতে বেশী ভালবাসে তারা। মেয়েদের কোন পোস্টে বা প্রোফাইল পিকচারে কমেন্ট তো করবেনই সাথে আলাদা করে তাকে টেক্সটের মাধ্যমে তার একটু তারিফ করে দিন। ভালো ভালো কথা বলুন। তার উদ্দ্যেশে পারলে সায়েরি বলুন। রূপের প্রশংসা করুন। করবেন না: কথা বলার লালসায় ভুলেও ফোন নাম্বার চাইবেন না। তখন অপর দিক থেকে ধেয়ে আসতে পারে তাচ্ছিল্যের তির, কেন? এখানে কিসের অসুবিধা কথা বলতে, এখানে যা কথা হবে ফোন নাম্বার নিলেও তাই হবে। এই কথাটা আপনার অপমানে লাগতেই পারে। করবেন: সাধারন কথা বলবেন। আপনার প্রতি আকর্ষিত করুন কথার জালে, দেখবেন সে নিজেই আপনাকে নাম্বার দিচ্ছে। কারন সে চাইবে আপনার সাথে কথা বলতে। করবেন না: নিজের কোন পিকচার আপলোড করে বা কোন পোস্ট শেয়ার করে তাকে ভুলেও ট্যাগ করবেন না। কারন যে কারোর থেকে ট্যাগ পাওয়া মেয়েরা পছন্দ করেন না। অনেকেই আছে যা খুশি পোস্ট করে ট্যাগ করে দেয় ফলে মেয়েদের কাছে আপনি খেলো হয়ে যেতে পারেন। করবেন: বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক তৈরি করার পর অর্থপুর্ণ কোন পোস্ট, কোন বন্ধুত্বভাবাবেগ পোস্ট, কোন কোটেশন, এগুলি শুধুমাত্র তাকে ডেডিকেট করে ট্যাগ করুন, তখন অন্য কাউকে ট্যাগ করার কথা ভুলেও ভাববেন না। এতে মেয়েটি স্পেশাল ফিল করবে, সে বুজবে আপনি তার জন্য ভাবেন। করবেন না: কখনও আপনার অতীতের বেদনা নিয়ে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন না। তাকে বুজতে দেবেন না আপনি মনের দিক থেকে সরল, কারন সরল ছেলেদের সুযোগ বুজে কোপ মারে মেয়েরা, তাই তখন আর পালানোর পথ পাবেন না। করবেন: মেয়েটির জীবনে কোন দুঃখজনক ঘটনা ঘটে থকলে, তাকে ভরসা দিন, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করুন। তাকে আশা দিন যে আপনি তার দুঃখ দূর করতে সক্ষম একজন বন্ধু হিসেবে। তারপর ধীরে ধীরে নিজের জীবনের আবেগঘন কথা শেয়ার করে তার ভেতরে সাহস যোগান বোঝান সকলের জীবনে ওঠা পড়া থাকে, সেখান থেকে বেড়িয়ে আশাই শ্রেয়। আরও পড়ুন – ফেসবুক: সম্পূর্ণ গাইড এবং টিপস ও ট্রিক্স এবার নিশ্চয়ই আর বলবেন না যে মেয়ে পটানোর উপায় সম্বন্ধে আপনি অবগত নন যার দরুন আপনার দ্বারা আর মেয়ে পটানো সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ে পটানোর সহজ উপায় আপনাদের জন্য ধাপে ধাপে বর্ননা কর হল, তাই কোন রকম অজুহাত না দিয়ে সোজা মাঠে নেমে পড়ুন। আর কোন রকম ভুল না হয় খেয়াল রাখবেন কারন এক্ষেত্রে একটা ভুল সাঙ্গাতিক আঁকার ধারন করতে পারে। তাই মেয়ে পটানোর উপায় সম্বন্ধে নিজেও অবগত থাকুন আবং নিজের বন্ধুদেরও মেয়ে পটানোর সহজ উপায় এর ধাপগুলি বর্ণনা করে দিন। আজকের এই বিষয়ক আলোচনা আপনাদের কেমন লাগলো অতি অবশ্যই জানাবেন। এই ধরনের অন্যান্য বিষয়ের সমাধান পেতে ফলো করুন আমাদের পেজ। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share