পোস্ত এমন একটি জিনিস বাড়িতে তেমন কিছু না থাকলেও একপদের সবজি দিয়েও চটজলদি রান্না করা যায়। কথায় বলে রান্নায় পোস্ত বাটা দিয়ে ভালো করে রান্না করতে পারলে এটি নাকি মাছ – মাংস কেও হার মানিয়ে দেয়।
তাহলে একদম দেরী না করে ৯ রকমের পোস্ত বাহারী রেসিপি দেখুন আশা করি ভালো লাগবে।
বেগুন ২টো(বেগুন দুটি কে লম্বালম্বি ভাবে বোঁটাসমেত চার ভাগ করে কাটুন),১টা পেঁয়াজ কুঁচি,১টা টমেটো কুঁচি, পোস্ত বাটা ৪চা চামচ,সর্ষের তেল ২চামচ, টকদই ২চামচ, কালোজিরা হাফ চা চামচ,চিনি হাফ চা চামচ, হলুদ ১চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, স্বাদ মতো নুন, কাঁচালঙ্কা ৩ টে, ধনেপাতা কুচি ২চামচ।
বেগুনের টুকরো গুলোতে নুন ও হলুদ হাত দিয়ে ভালো করে মাখান। তেলে বেগুন উল্টেপাল্টে হালকা ভেজে তুলে নিন।ওই তেলে কালোজিরা দিয়ে ১০ সেকেন্ড পরেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। টমেটো কুঁচি দিয়ে ২-৩ মিনিট ক্ষেত্রে টক দই (নুন ও চিনি দিয়ে ফেটানো) দিন। লঙ্কাগুঁড়ো ও পোস্ত বাটা ৩চা চামচ) দিয়ে হালকা আঁচে ২-৩মিনিট কষতে থাকুন। মাঝে মধ্যে জলের ছিটে দিন। তাহলে মশলা পুড়ে যাবে না। হলুদ ও নুন দিন আন্দাজ মতো। মশলা থেকে তেল বেরিয়ে আসলে ১ কাপ জল দিয়ে দিন। কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। ঢাকনা খুলে বেগুন দিয়ে দিন। মশলার মধ্যে বেগুন গুলোকে উল্টেপাল্টে মাখিয়ে দিন খুব সাবধানে নিলে ঘেঁটে যাবে।২ মিনিট পর উপরে কাঁচা সর্ষের তেল ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
সিম ১০-১২পিস, পোস্ত বাটা ২ চা চামচ, সর্ষের তেল ৩ চামচ, কালোজিরা হাফ চা চামচ, স্বাদমতো নুন,চিনি হাফ চা চামচ, হলুদ ১চা চামচ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো হাফ চা চামচ,সাদা আর কালো সর্ষে বাটা ১ চা চামচ করে, কাঁচালঙ্কা ২টো।
সিমগুলোকে দু’পাশ থেকে কেটে শিরা ছাড়িয়ে ফেলুন গোটা অবস্থাতেই। নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে সিমগুলো দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিন। দু’পাশ ভাজা হয়ে গেলে তুলে ফেলুন। কড়াইতে আরোও একটু তেল দিন। কালোজিরা দিয়ে ১০সেকেন্ড সাঁতলে নিন। কাঁচালঙ্কা দিন। হলুদ, নুন, চিনি একটা বাটিতে অল্প ২-৪ ফোঁটা জলে ফেটিয়ে নিয়ে ওই তেলে দিয়ে দিন। কম আঁচে কষতে থাকুন আরোও ১০ সেকেন্ড। এবার পোস্ত বাটা দিয়ে আর কিছুক্ষণ কষুন।মাঝে মধ্যে প্রয়োজন হলে জলের ছিটে দিন। এবার ভাজা সিম গুলো এই মশলায় দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ভেজে নিন। মিনিট ২ পর জল দিয়ে দিন।এবারে ঢেকে ২ মিনিট রান্না হতে দিন।২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন সিমগুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা।না হলে আরো একটু সিদ্ধ হতে দিন। সবশেষে সর্ষে বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। ওপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে এই রান্নায় কড়াইশুটি দিতে পারেন।
পটল ১০পিস, পোস্ত বাটা ৩ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে, স্বাদমতো নুন, চিনি হাফ চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, সর্ষের তেল ৩-৪ চা চামচ, টকদই ২ চা চামচ
পটল গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। দু’পাশ অল্প করে চিড়ে রাখুন গোটা অবস্থাতেই। ভালো মতো নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন।
কড়াইতে তেল গরম হলে পটল দিয়ে দিন। দু’পাশ হালকা সোনালী করে ভেজে তুলে ফেলুন।ওই তেলেই আরোও একটু তেল দিন।দই এর মধ্যে নুন ও হলুদ ফেটিয়ে ওই তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। কম আঁচে কমিয়ে রাখুন। এবার কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন আর পোস্ত বাটা দিয়ে কষতে থাকুন ভালো মতো নুন ও হলুদ দিয়ে।২ মিনিট কষানোর পর পটল দিয়ে আরও একটু কষিয়ে জল দিয়ে দিন।২মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করে মাখো মাখো হলে নামিয়ে ফেলুন।ঈয়া
আপনারা পড়ছেন পোস্ত বাহারী রেসিপি
শ্লোকপিডিয়া
৩-৬ চামচ পোস্ত,বড়ো একটা পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি ২টো, স্বাদ মতো নুন,তেল ৬ চামচ, চালের গুঁড়ো ২ চামচ, নিজের পছন্দ মতো আদা ও গোলমরিচের গুঁড়ো দিতে পারেন।
আধঘন্টা পোস্ত ভিজিয়ে রাখুন। মিক্সিতে পোস্ত বেটে নিন।জল বেশি দেবেন না, তাহলে বড়া বানাতে অসুবিধা হবে।একটা বড়ো পাত্রে বাটা পোস্ত, চালের গুঁড়ো, কুচানো পেঁয়াজ, কুচানো লঙ্কা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে গোল গোল করে তারপর চেপ্টে দিয়ে বড়া বানিয়ে ফেলুন। কড়াইতে তেল গরম করুন। ৩-৪টে গোল্লা করা পোস্ত বড়া দিয়ে দিন। হালকা আঁচে ভাজতে দিন। দেখবেন দু’পিঠ যেন ভালো মতো ভাজা হয়। ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে নামিয়ে নিন। পছন্দ মতো সস বা কাসুন্দি দিয়ে খান।
আলু ৬০০ শো গ্ৰাম (মাঝারি আকৃতিতে গোল গোল টুকরো করে কেটে নিন), স্বাদ মতো নুন,৫-৬ টা কাঁচালঙ্কা,পোস্তবাটা, সর্ষের তেল, হলুদ গুঁড়ো
কড়াইতে তেল দিন।তেল গরম হলে গরম তেলে আলু গুলোকে ছেড়ে দিন। নুন ও হলুদ দিয়ে ভালো মতো নাড়াচাড়া করতে থাকুন। ৪-৫ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে দিয়ে আলু গুলিকে সিদ্ধ হতে দিন। ঢাকনা খুলে আবার একটু নেড়ে দিয়ে পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। এবার গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন কিছুক্ষণ। এখন আন্দাজ মতো জল দিন। জল অবশ্যই নির্ভর করছে আপনি রান্নাটিকে কতটা মাখো মাখো বানাবেন।জল দেবার পর গ্যাসের আঁচ কমিয়ে কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রান্না হতে দিন।
এবার ঢাকনা খুলে একটু নেড়ে কাঁচালঙ্কা গুলো দিয়ে ১-২ মিনিট পর নামিয়ে নিন।
১টা বড়ো আলু (লম্বা লম্বা করে কাটা),২টো মাঝারি ঝিঙে (ছুলে নিয়ে লম্বা টুকরো করে কাটা), সর্ষের তেল ২৫ গ্ৰাম,কালোজিরা হাফ চা চামচ,১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো,৪টে কাঁচালঙ্কা, পোস্ত বাটা ২৫ গ্ৰাম,জল ২০০ মিলি.
কড়াইতে তেল দিন ।তেল গরম হলে কালোজিরাকে ভাজুন। এরপর কড়াইতে লম্বা করে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিন। আলুগুলোকে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। এবার ভাজার পর পুরো করে কেটে রাখা ঝিঙেগুলো দিয়ে দিন। ঝিঙে গুলিকে আলুর সঙ্গে ২-৩ মিনিট নেড়ে নেবেন। এখন রান্নায় হলুদ গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা দিয়ে আবার একটু নাড়াচাড়া করে নিন। এবার পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। পরিমাণ মতো জল ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর তরকারিটি ফুটে উঠলে স্বাদ মতো নুন দিয়ে দিন। নুন দেওয়ার পর গ্যাসকে কম আঁচে রেখে ঢাকা দিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট। ঢাকনা খুলে অল্প নাড়াচাড়া করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
ভেন্ডী (লম্বা করে কাটা),আলু (লম্বাভাবে সরু করে কাটা), পোস্ত ২চা চামচ(সর্ষে ও লঙ্কা দিয়ে বেটে রাখতে হবে), হলুদ হাফ চা চামচ, স্বাদমতো নুন, লঙ্কা গুঁড়ো হাফ চা চামচ,হাফ কাপ জল
কড়াইতে তেল গরম হলে ভেন্ডী ও আলু ছেড়ে দিন। স্বাদমতো নুন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন।অল্প ভাজা ভাজা হয়ে গেলে লঙ্কা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। গ্যাস মাঝারি আঁচে রাখুন। এবার পোস্ত বাটা দিয়ে গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে দিন। রান্নাকে ভালো মতো নাড়তে থাকুন যাতে ভেন্ডীর মধ্যে ভালো মতো পোস্ত বাটা মিশে যায়। এবার রান্নায় অল্প জল দিয়ে দিন। ভালো করে কষিয়ে নিন।৩-৪ মিনিট কড়াই ঢাকা দিয়ে রাখুন গ্যাসের আঁচ মাঝারি রেখে। এবার ঢাকনা খুলে অল্প নেড়ে গ্যাস থেকে কড়াই নামিয়ে নিন।
আপনারা পড়ছেন পোস্ত বাহারী রেসিপি
পেঁয়াজ কুচি ৫টা, নুন স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো হাফ চা চামচ,জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো হাফ চা চামচ, ৪ বড়ো চামচ পোস্ত বাটা, মাঝারি আকারের গোটা টমেটো কুচি,৪টে কাঁচালঙ্কা,গরম মশলা গুঁড়ো হাফ চা চামচ,অল্প পরিমাণে ধনেপাতা কুচি
কড়াইয়ে তেল দিন।তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচিগুলি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। এবার একে একে নুন, হলুদ,লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। এইসময় গ্যাসের আঁচ মাঝারি তে রাখুন। এবার জিরা গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। এবারে রান্নাতে পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। এবং পোস্তের বাটি ধোঁয়া অল্প জল রান্নায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপরে টমেটো কুচি ও কাঁচালঙ্কা রান্নায় দিন। এবার গ্যাস মাঝারি আঁচে রেখে রান্নাকে ৩-৪ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। এবারে ঢাকনা তুলে গরম মশলা গুঁড়ো ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন।
অল্প নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন – শিখে নেওয়া যাক পছন্দের ম্যাগির ৯ রকম রেসিপি
৩০০ গ্ৰাম শশা (বড়ো লম্বালম্বি ভাবে কাটা), ১টা পেঁয়াজ কুচি, কালোজিরা,১টা টমেটো কুচি,৫টা কাঁচালঙ্কা,১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, পরিমাণ মতো নুন, স্বাদমতো চিনি, পোস্ত বাটা ৩ বড়ো চা চামচ
কড়াইতে তেল গরম হলে কালোজিরা দিয়ে দিন। কালোজিরা ভাজা ভাজা হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ অল্প ভাজা হলে শশার টুকরো গুলি দিয়ে ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করুন। পেঁয়াজ আর শশা ভাজা হয়ে গেলে এটির মধ্যে দিয়ে দিন টমেটো কুচি ও কাঁচালঙ্কা। এবার স্বাদমতো নুন ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষতে থাকুন। এবার গ্যাসের আঁচ কমিয়ে দিয়ে ১০ মিনিট মতো কড়াইয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার ঢাকনা সরিয়ে অল্প চিনি ও পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। পোস্ত বাটি ধোঁয়া অল্প জল রান্নায় দিয়ে ভালো করে নাড়ুন গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে। এবার রান্নায় কাঁচা জল দিয়ে দিন। আবার এটিকে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন ১০ মিনিট এই সময় অবশ্যই গ্যাসের আঁচ কমানো থাকবে। এবার ঢাকনা খুলে একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলুন, শশা পোস্ত (sosaposta) তৈরি।
আজকের পোস্তের সমস্ত রেসিপি গুলি কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন আমাদের সাইটে। আর লকডাউনের অবসরে এগুলি বানিয়ে খাওয়ার আনন্দ মিস করবেন না।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…