মানুষের মধ্যেই নাকি ভগবান বিরাজ করেন। তা এ হেন কার্য কি ভগবান করতে পারেন? খাবারের সন্ধানে না হয় সে চলে এসেছিল গ্রামে তা বলে…..। এতে কার কী লাভ হল তা জানা নেই, তবে যেটা ঘটল তা হল ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু!
2nd june, 2020.. কেরলের মালাপ্পুরম – এর একটি গ্রামের গ্রামবাসীদের জন্য হল ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু। হাতিটি খাবারের খোঁজে “Silent Valley National Park” – থেকে চলে আসে গ্রামের লোকালয়ে। খিদের জালায় হাতিটি সারা গ্রাম ঘুরতে থাকে কিন্তু কোনো মানুষ বা কোনো রকম কিছুর কোনো ক্ষতি করেনি। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন “জীব সেবাই শিব সেবা” ভালই সেবা হল হাতিটির। ‘গ্রামের কিছু মানুষ বোধ হয় ভেবেছেন হাতিটির কথা তাই তাকে আনারস খেতে দিয়েছে’, এই কথাই হয়তো বিশ্বাস করেছিল মনে মনে ওই ৬ মাসের গর্ভবতী হাতিটি। শুধু তাই নয় আনারসটি আনন্দের সঙ্গে খেয়েও ফেলল ওই নিষ্পাপ জীবটি। সে জানতে পারেনি যে এর পিছনে কত বড় ষড়যন্ত্র আছে।
ওই আনারসটি ছিল বারুদে পরিপূর্ণ। খাওয়া মাত্রই মুখের ভিতরে বাজি গুলো ফাটতে লাগল। হাতিটির শুঁড় সহ সারা মুখ রক্তাক্ত হয়ে গেল। তবুও তার সন্তানের কথা ভেবে ঘুরে বেড়ায় সারা গ্রাম একটু খাবারের খোঁজে। সারা শরীর জলতে লাগল যন্ত্রণার আগুনে। ৬ মাসের গর্ভবতী হাতিটি দাপিয়ে বেড়ালো সারা গ্রাম, কিন্তু তাও কোনো ক্ষতি করেনি। অবশেষে সে নিজের সন্তানের কথা ভেবে, তার সন্তানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, পেটের ওই ক্ষতপূর্ণ জায়গায় যাতে পোকা না বসে, এবং নিজেরও যাতে জ্বালা একটু কম হয় সেই ভেবে একটি নদীতে দাঁড়িয়ে থাকে নিজের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং ঘটল ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ওখান থেকে সরানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ওখানে ১৫ বছরের ৬ মাসের গর্ভবতী হাতিটির মৃত্যু হল।
কিছু মানুষরুপী অমানুষের কারণে একটি সন্তানের মৃত্যু হল গর্ভে থাকা অবস্থায়। পৃথিবীর আলো দেখতে পেল না শিশুটি, মৃত্যু হল একটি গর্ভবতী মায়ের। কেমন করে মানুষ এতটা নীচে নামতে পারে। সে তো কোনো ক্ষতি করেনি তাদের, শুধু মাত্র জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে গ্রামে এসেছিল নিজের গর্ভে থাকা সন্তানের এবং নিজের জন্য একটু খাবারের সন্ধান করতে। তাকে খাবার না দেওয়ার হলে দিত না কিন্তু তা বলে এভাবে ষড়যন্ত্র করে মৃত্যু! ছি….। একটি মা যেমন নিজের সন্তানের ভালো-মন্দো সবসময় আগে দেখেন তেমনই হাতিটিও তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন তার সন্তানকে বাঁচানোর পৃথিবীর আলো দেখানোর। শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি।
ফরেস্ট অফিসার মোহন সাংবাদিকদের বিবরণ দেওয়ার সময় কাঁপা কাঁপা স্বরে বলেছিলেন যে এই ১৫ বছর বয়সী হাতিটি ৬ মাসের গর্ভবতী ছিল। ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু-র পর তিনি এমনও বলেছেন যে “কাটা-ছেঁড়া করে দেখা গেছে যে, হাতিটির মধ্যে একটি 6th সেন্স কাজ করছিল যে তার মৃত্যু টি তার খুব কাছে এসে গেছে।” যতক্ষণ তার প্রাণ ছিল সে চেষ্টা করেছিল যাতে একটু হলেও তার জ্বালা কমে।
শেষ রক্ষা হলনা, ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু হল এবং তার সাথে তার গর্ভে থাকা সন্তান টিও দেখল না পৃথিবীর আলো। দেশ বা রাজ্যের প্রশাসন কি ছেড়ে দেবে তাদের? প্রকৃতি, ঈশ্বরও কি ছেড়ে দেবেন তাদের? কে নেবে প্রতিশোধ ৬ মাসের গর্ভবতী হাতির মৃত্যু-র? কেরল সরকার কি কোনো রকম পদক্ষেপ নেবেন না এর বিরুদ্ধে?
আরও পড়ুন – শুভশ্রীর বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করলেন রাজ
পোস্ট টি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানান। শেয়ার করুন অন্য বন্ধুদের সাথে। যাতে সবাই সবার মতো নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে এবং এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিজের মতো করে প্রতিবাদ করতে পারে।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…