আগেকার দিনে ঠাকুমা দিদিমা রা বলতেন কেশ ই হল বেশ । মাথা ভর্তি ঘন কালো, স্বাস্থোজ্জ্বল চুল কে না চায় বলুন তো? কিন্তু বর্তমানে স্ট্রেস, অনিয়মিত জীবনযাপন, চারপাশের পলিউশন আমাদের চুলের একদম বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই; আজ চুল উঠে যাওয়া, মাথার সামনে টাক পড়ে যাওয়া, চুলের অকাল পক্কতা, চুল রুক্ষ-নির্জীব হয়ে যাওয়া প্রভৃতি এইসব ধরনের সমস্যা আমাদের জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার থেকে নিস্কৃতির জন্য চুল গজানোর উপায় জানতে আজ আমাদের প্রায় নাজেহাল দশা।
আচ্ছা, আপনার কি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাচ্ছে? মাথার সামনের চুল উঠে গিয়ে টাক পরে গিয়েছে? তাহলে আজ আসুন আমরা জেনেনি টাক মাথায় একরাশ চুলের উপায় ও চুল গজানোর তেল তৈরির উপাদান।
কি মনে হচ্ছে সমস্যার সমাধান হচ্ছে তো? তাহলে আর দেরি না করে চটপট বিস্তারিত আলোচনায় চলে আসা যাক।
আমলকীকে চুলের ধনন্তরী বলা হয়ে থাকে। কেননা আমলকীতে উপস্থিত বিভিন্ন মিনারেলস্ চুলকে মজবুত করে ও চুল ঝড়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় হিসেবে আমলকী বেটে লাগালেও উপকার মেলে। এছাড়াও নতুন চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপায় রূপে আমলকী ও কচি আমের আঁটি বেটে নিয়ে লাগাতে পারেন। এবং এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক মাস এই পদ্ধতি ফলো করলে দেখবেন নতুন চুল অবশ্যই গজাবে।
চুলের যত্নে কেশুতি পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেশের সব সমস্যা সমাধানেরর জন্য কেশুতি পাতা কেশরাজ নামেও পরিচিত ৷ মাঠে, ঘাটে, জলাশয়ের ধারে সাধারণত জন্মে থাকে এই কেশুতি পাতা।টাক মাথায় চুল গজানোর মোক্ষম উপাদান হিসেবে কেশুতি পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেশুতি পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে নিন। কিছুদিন পর থেকে দেখবেন আপনার চুল পড়ার সমস্যা একদম কমে গিয়েছে এবং মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় হিসেবেও কাজ করছে। এছাড়াও নারকেল তেল ও সমপরিমাণ সর্ষের তেল নিয়ে তাতে এক টি স্পুন আমলকীর রস ও কিছুটা কেশুতি পাতার রস মিশিয়ে একটু ফুটিয়ে নিয়ে একটি তেল বানিয়ে ফেলুন। এরপর প্রতি দিন রাতে চুলের গোড়ায় ভালো করে মেখে আলতো ম্যাসাজ করে নিন অথবা দিনের বেলায় তেল মেখে সাওয়ার ক্যাপ পড়ে ঘন্টা দুই তিনেক রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন দেখবেন উপকার পাবেনই।
প্রাকৃতিক সহজলভ্য এই উপাদানকে আমরা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ব্যবহার করতে পারি।খুশকি আমাদের চুল পরে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই প্রথমেই আমাদের খুশকিকে দূর করতে হবে। আর এই খুশকি দূর করার ফর্মুলা আপনার হাতের কাছেই আছে। শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর এক মগ জলে একটি পাতিলেবুর রস চিপে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। লেবুতে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যাসিড খুশকি দূর করবে আর আপনি পেয়ে যাবেন চুল ঝড়ে পড়ার হাত থেকে মুক্তি।
চুল পড়ার সমস্যা মোটেই নতুন সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে নতুন চুল না গজানো। নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে প্রাচীন কালে বিভিন্ন তেলের ব্যবহার হত। যা আধুনিক কালের রাসায়নিক মেশানো কোনো রেডিমেট তেল নয়। প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ এই তেল মাথায় চুল গজানোর অব্যর্থ জিনিস।নারকেল তেলে মেথি, লাউ এর সিড্ স,অ্যালোভেরা, ভৃঙ্গরাজ এর রস ,আমলকী ও জবা ফুলের কুঁড়ি দিয়ে ফুটিয়ে একটি তেল বানিয়ে ফেলুন।এরপর ঠান্ডা করে মিশ্রণ টিকে রোজ রোদে দেবেন। এই তেলটি ব্যবহার করে দেখুন ভালো ফল পাবেন।
চুল গজানোর তেল কিনুন
আপনি বাইরে থেকে যাই করুন না কেন যদি ভিতর থেকে কিয়োর না হয় তবে কোন সমস্যার ই সমাধান হবে না। তাই দরকার স্বাস্থ্যকর খাবার। চুলের প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় কেরটিন, বায়োটিন নামক প্রোটিন, ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিনD এবং ক্যালসিয়াম।বিভিন্ন খাদ্যের মধ্যে দিয়ে এর প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হবে।এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন অন্তত পক্ষে আট গ্লাস।এটিই চুল গজানোর মুখ্য প্রাকৃতিক উপায়।
চুল গজানোর শ্যাম্পু কিনুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দুশ্চিন্তার হেয়ার ফল ও হেয়ার গ্রোথ রোধের অন্যতম কারণ। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে ধ্যান করুন এটি মাইন্ড কে রিফ্রেশ করবে।আপনি সতেজ ও ফুরফুরে থাকলে দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে প্রাকৃতিক নিয়মেই চুলের উদ্ভব হবে।আর চুল গজানোর মোক্ষম দাওয়াই হল পর্যাপ্ত ঘুম। তাই চেষ্টা করুন রোজ কম করে আট ঘন্টা ঘুমোতে।
আরও পড়ুন – ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিন | Best Hair Care Tips
চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলি নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনাদের উপকার হবে যদি আপনাদের এই সমস্যা থেকে থাকে। সমস্যা বেশি হলে ডারমাটোলজিষ্ট এর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
পরবর্তীতে আরও ভেষজ উপাদান দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের তথ্য পেতে অতি অবশ্যই আমাদের পাশে থাকুন।ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…