একজন সুদক্ষ, ভারসাটাইল একট্রেস যিনি কিনা নব্বইয়ের দশক থেকে আজও মানুষকে মনোরঞ্জন করে চলেছেন কখনও সিনেমা কখনও রিয়েলিটি শো-র মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম চরিত্রকে তিনি এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে সেগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর অভিনয়ে। শুধু বাংলা নয় বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় তিনি নজর কেড়েছেন তাঁর কেরিয়ার লাইফে। হ্যাঁ তিনি নব্বইয়ের দশক থেকে আজও দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী! আজ এই পোষ্টটির মাধ্যমে আমরা তাঁর সম্পর্কে, তাঁর জীবন, কর্মজীবনের নানা তথ্য জেনে নেবো।
দেরি না করে এবার দেখার পালা তাঁর জীবনের নানান বৃত্তান্ত:-
ভারতীয় বাঙ্গালি এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জন্ম কলকাতায়। রচনা ব্যানার্জির প্রকৃত নাম ঝুমঝুম ব্যানার্জি যা প্রথম বাংলা ছবিতে পরিচালক বদলে রাখেন রচনা। ১৯৯০ সালে তিনি মিস ক্যালকাটা পুরস্কার জেতেন। তার পর তিনি অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। এছাড়াও তিনি নানা বিউটি কনটেস্ট যোগ দেন এবং বিজেতার স্থান অর্জন করেন। ভারতে মোট পাঁচটি কনটেস্ট তিনি জেতেন। মিস ইন্ডিয়া-তে যোগদান করে তিনি ‘মিস বিউটিফুল স্মাইল’ জেতেন।
খুব অল্প বয়সেই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ১৯৯৩ সালে তাঁর প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় “দান প্রতিদান” সুখেন দাসের পরিচালনায়। তারপর একের পর এক হিট মুভি উপহার দেন দর্শকদের। শুধুমাত্র বাংলা নয় তিনি ওড়িয়া, তামিল, তেলেগু, হিন্দি প্রভৃতি নানা ছবিতে তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর কর্মজীবনে বিগ বি অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সাথেও স্ক্রিন শেয়ার করেছেন সূর্যবংশম মুভিতে। বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মোট ৩৫টি সিনেমাতে রচনা ব্যানার্জি অভিনয় করেন। এছাড়াও হিন্দি, তামিল, তেলেগুর বিভিন্ন নামী দামী শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন।
রচনা ব্যানার্জী এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে অজস্র ওড়িয়া সিনেমা আছে। তিনি ওড়িশার এক নম্বর নায়িকা হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে দান প্রতিদান তাঁর প্রথম সিনেমা। তারপর তপস্যা,সবুজ সাথি,গুরু, মায়ের আঁচল,বাজি, রাজমহল, স্বামীর দেওয়া সিঁদুর , সাথী আমার, গ্যাঁড়াকল, অগ্নিশপথ , তুলকালাম, জন্মদাতা, টক্কর, বিয়ের লগ্ন, মিস্টার ফানটুস্ প্রভৃতি বাংলা সিনেমা এবং সাগর গঙ্গা, ভাই হেলা ভাগারি, আমোদিনী, সুভদ্রা, যশোদা, সিন্দুরা নুহে খেলা ঘরো প্রভৃতি ওড়িয়া সিনেমাতেও অভিনয় করেন। বিভিন্ন তামিল ও তেলেগু মুভিতে অভিনয় করেন রচনা ব্যানার্জি- সুলতান , নেনু প্রেমিস্থুনান, মাভিডাকুল, ভান্না থামিয্ পাট্টু যার মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে তাঁর যে বাংলা মুভি গুলি দর্শককে বারবার টেনেছে তা হল- রামধনু, গোয়েন্দা গোগোল প্রভৃতি।
ওড়িয়া মুভিতে অভিনয় করা কালে সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সাথে তাঁর বিয়ে হয় এবং যা পরবর্তী কালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। রচনা ব্যানার্জির বর্তমান স্বামী প্রবাল বসু। তাঁর ছেলে প্রনীল বসু।
দেখে নেওয়া যাক তার কিছু ছবি:
বর্তমানে বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো যা সব বয়সের মানুষের জন্য তৈরি দিদি নং 1- যার সঞ্চালনার দায়িত্বে রচনা ব্যানার্জি। বিগত দশ বছর ধরে এই দায়িত্ব তিনি নিজ হাতে একা সামলে আসছেন এবং তাও খুব জনপ্রিয়তার সাথে। এই দশ বছরে এই শো হাজারও দর্শকের মন জয় করেছে। এবং আগামী দিনেও এটি যে আরও অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এছাড়াও আরেক রিয়েলিটি শো ‘তুমি যে আমার’ – প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে সঞ্চালনায় যুক্ত ছিলেন।
নায়িকা ঘুরতে খুবই ভালোবাসেন এবং দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় তিনি কর্মসূত্রেই বলুন বা ছুটি কাটাতে বলুন- তিনি বেড়াতে গেছেন যার আপডেট সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা সবাই পাই। আসুন দেখেনি তারই এক ঝলক:
আরও পড়ুন – দেখেনিন মধুমিতা সরকারের সেনসেশনাল লুক
সনামধন্য এই অভিনেত্রী তাঁর সারা জীবনে নানা পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন “ভারত নির্মাণ পুরস্কার”, “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রদত্ব বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার”, “টেলি সম্মান পুরস্কার” প্রভৃতি। এত দক্ষ, অসমান্য প্রতিভা, অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী যার রূপ, হাসি এবং অভিনয় ক্ষমতা দর্শকে আজও মুগ্ধ করে।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…