আমরা আর ক’দিন পর পদার্পণ করবো ১৪২৭ বঙ্গাব্দে। নতুন বছর মানেই নতুন আশা।
নব দিবস নিয়ে নব দিগন্তের আহ্বানে আমাদের পথ চলা শুরু হয় নব প্রত্যাশাকে ঘিরে।
সমস্যা শঙ্কুল জীবনে নতুন বছরে ইতিবাচক চিন্তাভাবনাই সর্বদা করা প্রয়োজন। তবেই জীবনে আসবে সাফল্য ও উন্নতি। কিন্তু সকল কিছুর ওপরেই নির্ভর করে মানুষের কর্ম। আর কর্মের সাথে আরেকটি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত,তা হলো আমাদের ভাগ্য। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী আগামী বাংলা নববর্ষের প্রাক্কাল কয়েকটি রাশির জাতক জাতিকাদের কাছে অত্যন্ত শুভকর, ভগবান বিষ্ণুর কৃপা পাবেন তারা।
কারণ পাঁচটি রাশির জাতক ও জাতিকাদের উপর ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ বর্ষিত হতে চলেছে।
প্রথমে দেখিনিন কোন পাঁচটি রাশির।
কর্কটরাশির জাতক জাতিকাদের জন্য বাংলা নববর্ষটি খুবই ভালো। এই রাশির জাতক জাতিকারা ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করবেন। গ্ৰহ ও নক্ষত্রদের অবস্থান ভীষণ ভালো জায়গাতে থাকার ফলে এবং বিষ্ণুর কৃপার পরিপ্রেক্ষিতে এই বছর এই রাশির মানুষের ভাগ্যে ব্যাপক উপার্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং এই রাশির জাতক জাতিকাদের এই বছর সমস্ত আশা- আকাঙ্খা পূরণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ভগবান বিষ্ণুর কৃপা রয়েছে সেহেতু বছরের শুরুতেই নিজের লক্ষ্যগুলোকে স্থির করে নিতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে লক্ষ্যভেদ এই বছর হবেই হবে। যারা অবিবাহিত তাদের মনের মানুষের আগমন ঘটবে এই বছর বিষ্ণুর কৃপায়। সব মিলিয়ে কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের এতোটাই ভালো যাবে,যে কারণে এই ১৪২৭ বঙ্গাব্দটি তাদের সারাজীবন মনে থাকবে।
কন্যারাশির জাতক জাতিকাদের জন্য বাংলা নববর্ষটি খুবই ফলপ্রসূ। এই রাশির জাতক জাতিকারাও ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে জীবন সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের মতো কন্যারাশির মানুষেরাও প্রচুর অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা আছে। তবে নতুন বছর এই জাতক জাতিকাদের এক নতুন সুন্দর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। কন্যারাশির মানুষদের এই বছরে সমস্ত দুশ্চিন্তার অবসান হয়ে
নিজের লক্ষ্যপূরণের দিকে অতি অনায়াসে এগিয়ে যেতে পারবেন বিষ্ণুর কৃপাতে। কন্যা রাশির মানুষেরা একা থাকতে বেশি পছন্দ করেন, আর এই একা থাকার সময়ে তারা জীবনমুখী চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে নিজেকে অতি সক্রীয় করে তোলেন, আর এই সক্রীয়তাই এনে দেবে এক অনন্য খ্যাতি এই বছরে; যা আগে কখনো ভাবতেও পারে নি। সব মিলিয়ে বছরটা মনে রাখার মতো হবে।
মেষরাশির জাতক জাতিকাদের জন্য ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় অসামান্য ভাবে বছরটি কাটবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মেষ রাশির মানুষেরা ব্যক্তিত্ববান হন। আর এই বছর ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তাদের নতুন যে সম্পর্কগুলি তৈরি হবে,সেগুলি খুবই ফলপ্রসূ হবে। মেষ রাশির মানুষেরা মূলতঃ সৃষ্টিশীল মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে,এই বছর এই রাশির মানুষের কাছে তাদের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সুনাম অর্জন করবে। মেষ রাশির মানুষেরা অত্যধিক স্বাধীনচেতা মানসিকতার হওয়ার দরুন কোনো বাঁধা এই বছর এদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। এই রাশির জাতক জাতিকাদের জীবন দূর্বার গতি সম্পন্ন হয়ে উঠবে। ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে যে কর্মেই এই রাশির মানুষেরা হাত দেবে সেটিই সম্পূর্ণ ভাবে সাফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
বিষ্ণুর আশীর্বাদে বাংলা নববর্ষ মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের কাছে খুবই মঙ্গলময়। দৃঢ়তা ও কর্মক্ষমের ওপর নির্ভর করে এই বছর সাফল্যের শিখরে উঠবে এই রাশির মানুষেরা। মমতা,নম্রতা ও স্নেহর দ্বারা এই রাশির মানুষেরা শত্রুদের মন জয় করে নিতে সক্ষম হবে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কেরামতিতে সৃজনশীলতার দরুন যশ,মান, মর্যাদা অসীম বেগে বৃদ্ধি পাবে। হারানো জিনিস লাভের পরিপ্রেক্ষিতে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রবেশ ঘটবে।
আরও পড়ুন – হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বিচার | নিজের ভাগ্য নিজে জানুন
ধনুরাশির জাতক জাতিকাদের নতুন বছর আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে বিষ্ণুর আশীষে। জীবনের পুরোনো যা কিছু সমস্যা ছিল সেগুলোর মুক্তি ঘটবে। পুরোনো প্রেম বা পুরোনো হারিয়ে যাওয়া সম্পর্করা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে প্রত্যাগমন করবে। এই নতুন বাংলা বছরটি ধনুরাশির জন্য অত্যন্ত অনুকূল বছর। এই রাশির শিক্ষার্থীদের জীবন এই বছর নতুন একটি দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে। এই বছরে কর্মপ্রার্থীদের জন্য যে সুযোগগুলো আসবে সেই গুলিকে গ্ৰহণ করার চেষ্টা করবেন।
আমরা যতোই কর্ম করিনা কেন ভাগ্য কিন্তু বদলানো যায় না। কিন্তু রাশি যদি কোনো দেবতার দ্বারা আবিষ্ট হয়ে, তাহলে বিফল বিষয়েও ফলপ্রদ হতে পারে। তাই আপনাদের বলছি বিষ্ণুর কৃপায় এই বছর এক অন্যমাত্রা এনে দেবে। সেই জন্য কোনো সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।পরে হয়তো সেই সুযোগ আর জীবনেও এলো না।
আশাকরি আজকের আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে, কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…