লবঙ্গ যা মশলা হিসাবে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও গরম মশলা তৈরির উপাদানের মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান। দারচিনি, ছোট এলাচ, সঙ্গে লবঙ্গ যোগ করে এই গরম মশলা তৈরি হয়। আজ লবঙ্গের উপকারিতা আমাদের আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে। লবঙ্গ হল একটি চিরহরিত গাছের ফুল। আকারে ছোট কিন্তু গুণাগুণে সবাইকে পিছিয়ে দেয় এই লবঙ্গ। রান্নাঘরে কৌটোতে থাকা এই ছোট ফুলটি প্রধানত আমরা গোটা, গুড়ো এবং তেল হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। বেশিরভাগ সময় রান্নার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হলেও এর বাইরে লবঙ্গের অনেক উপকারিতা আছে যা আজ বিস্তারিত মাত্রায় পেশ করব আপনাদের সামনে।
এই লবঙ্গের আর একটি সমার্থক শব্দ “লং”। শোনা যায় ইন্দোনেশিয়া তে এর উৎপত্তি।তবে এখন পৃথিবীর সর্বত্র লবঙ্গ পাওয়া যায়। আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক এই গুণী লবঙ্গের উপকারিতা।
এই মশলার গুণাগুণের বর্ণাত্মক রূপ তাহলে এক নজরেদেখে নেওয়া যাক:
লবঙ্গ তেল ত্বকের শুষ্কতা সারিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে মুখে লাগিয়ে শুতে গেলে এটি ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে দেবে। লবঙ্গ তেলে থাকে “ভিটামিন কে” ও “ভিটামিন ই” যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর্থ্রাটিসের যন্ত্রণা কমাতে পারে এই লবঙ্গতেল, কারণ এতে ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকে। সাইনাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এবং বিভিন্ন ইনফেকশন কমাতে এই লবঙ্গের তেল খুবই কার্যকর। এছাড়া যে কোনো ক্ষতস্থানে লবঙ্গের তেল অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। এই তেল শরীরের নানা দাগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এই ফলের জুরি মেলা ভার। এটির দ্বারা যে কোনো রকম হাটুর ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে খুব সহজে। পেশি থেকে শুরু করে যেকোনো ফোলা ভাব কমাতে লবঙ্গের গুণগত মান অতুলনীয়। দাঁতের বিভিন্ন অসুখ যেমন মাড়ি ফোলা কমাতে ও ব্যথা জাতীয় যে কোনো ব্যধি এতে সেরে যায় অতি সহজেই। লবঙ্গ হল লোহার একটি উৎস এটিতে আয়রন পরিমাণ মতো থাকায় রক্ত গঠনে সাহায্য করে। হাড়ের বিকাশ করতে এটি সমান কার্যকরী কারণ এটি থেকে শরীরে ক্যালশিয়াম সরবরাহ হয়। লবঙ্গ বিশেষত সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাসও যুক্ত থাকে তাই অধীক খনিজ পদার্থের সম্ভার এই লবঙ্গ। নার্ভের বিকাশ ঘটতে লবঙ্গ অপরিহার্য।
ঋতুর পরিবর্তনের সময় লবঙ্গ চা তে দিয়ে খেলে তা সর্দি কাশি ভাইরাল ফিভার রোধ করে। গলা ব্যথা ও কাশির উপশমের জন্য কাঁচা লবঙ্গ নুন দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এমনি লবঙ্গের দানা মুখে ফেলে রাখলে রাতে শোবার সময় কাশি অনেক কম হয় যা আরামে ঘুমাতে সাহায্য করে। গরম জলে লবঙ্গ দিয়ে খেলে আবহাওয়া পরিবর্তনে চট করে ভাইরাল ফিভার ছুঁতে পারে না। প্রতি দিন রাতে মধুতে মিশিয়ে লবঙ্গ শেবন করলে নানান রোগ থেকে মুক্তি মেলে এবং অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা যায়। লবঙ্গের ঝাঁঝই অধিকাংশ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
আগেই বলেছি লবঙ্গ একটি ঝাঁঝালো ফল তাই তা চিবিয়ে খেলে আরও ঝাঁঝালো লাগার দরুন অনেকেই তা এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি অনেক ছোট ছোট রোগে টোটকার মতো কাজ করে। প্রাচীন কালে এই টোটকা প্রচলন ছিল বর্তমানে কমে এলেও তা সর্বাংশে শেষ যে হয়নি এটা তারই নজির।
আরও পড়ুন – কাজু বাদামের উপকারিতা: কাজুবাদাম দেখতে ছোট হলেও গুনে ভরপুর
তাহলেই বলুন, ছোট জিনিস কিন্তু উপকার অনেক।এই লবঙ্গের উপকারিতা অনেকর অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করেছে। বলা বাহুল্য লবঙ্গ দৈনন্দিন জীবনের অনেক সমস্যা সমাধানে যেভাবে নজির কাড়ে তাতে সন্দেহের কোন দাবি রাখে না এটির ভেষজ গুন কত উচ্চ মানের।
ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানান আর আগামী দিনের আরও অনেক তথ্য আনছি আপনাদের জন্য আশা করব আপনাদের পাশে পাব সবসময়।
ধন্যবাদ।
সকালবেলা আমরা যে উদ্দমের সাথে দিন শুরু করি যে এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আমরা সারাদিন আমাদের…
স্বপ্ন যা আমাদের বাঁচাতে অনুপ্রাণিত করে, স্বপ্ন পূরণ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য লড়াই করতে থাকি…
সকালের ক্লান্ত আভায় ভেসে রাতের অন্ধকারে শান্তি খুঁজে পাই। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে চাঁদ মামার…
আমরা সকলেই স্মার্ট যুগে নানান গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে গুড মর্নিং বা সুপ্রভাত বা শুভ সকাল…
আমাদের জীবনে চলার পথে নানা বিষয় আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় ভালো মন্দ মিশিয়ে। মানুষের ব্রম্ভাস্থ…
বিবাহ খুব পবিত্র শব্দ যা শত যুগ ধরে দুটি মানুষের সারাজীবনের বন্ধন হিসেবে স্থগিত করা…