★কৃষ্ণ নাম, মধুর হরে কৃষ্ণ নাম এর মাহাত্ম্য★ রাশিফল ও ভবিষ্যৎ by admin - November 26, 2020November 26, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। পুরাণ মতে কথিত আছে যে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হলেন শ্রীকৃষ্ণ।তিনিই হলেন শ্রীমদ্ভাগবতগীতার প্রবর্তক আবার তিনিই হলেন একাধারে প্রেমশক্তির আধার শ্রীরাধিকা ও ষোলোশো গোপিনীর প্রাণনাথ।যার নামে ভক্ত হৃদয়ে বয়ে চলে প্রেমের রসধারা। আর মন ডুব দেয় রস সাগরে। মধুর হরে কৃষ্ণ নাম এর মাহাত্ম্য অতুলনীয়। “আত্মেন্দ্রীয় প্রীতি ইচ্ছা তারে বলে কাম,কৃষ্ণেন্দ্রীয় প্রীতি ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম।” Table of Contents কৃষ্ণ নাম:মধুর কৃষ্ণ নামের গুন:মধুর হরে কৃষ্ণ নাম:মধুর হরে কৃষ্ণ নামের ইতিহাস:মধুর হরে কৃষ্ণ নাম মহিমা: কৃষ্ণ নাম: কথিত আছে কৃষ্ণের অষ্টতর শতনাম অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ১০৮টি নাম। তবে সংস্কৃত কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কালো বা ঘন-নীল। আবার মহাভারতের উদ্যোগপর্বে বলা হয়েছে কৃষ্ণ শব্দটি কৃষ এবং ণ এই দুটি মূল শব্দ থেকে উৎপন্ন। কৃষ শব্দের অর্থ টেনে আনা বা কর্ষণ করা বোঝায় আর ণ শব্দটিকে নিবৃত্তি শব্দের প্রতিভূ ধরা হয়।অর্থাৎ কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় সকল দিকদিয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিব্যক্তি। যিনি আত্মার সুদ্ধি ও পাপের মুক্তি উভয় কর্মেই সিদ্ধহস্ত। তাঁর কালো বা গাঢ় নীল রঙে বলে তিনি শ্যাম, নীলকান্ত নামেও পরিচিত।এছাড়াও ছাড়া ও গো পালক ও রক্ষা কর্তা বলে তাঁকে গোপাল, গোবিন্দ ও বলা হয়ে থাকে। জগতের পালনকর্তা হিসাবে তাঁকে জগন্নাথ ও বলা হয়।দীনজনে সখা বলে তিনি হলেন দীনবন্ধু।এছাড়াও বংশীধারী বলে তাঁকে মোহন মুরারী ও বলা হয়ে থাকে।এবং ভক্ত হৃদয়ে প্রেম স্থাপন কারার কারনে তাঁকে মদন মোহন ও বলা হয়। মধুর কৃষ্ণ নামের গুন: কৃষ্ণ নাম এর মাহাত্ম্য আলোচনা করতে গেলে আসতে হবে পুরানের ঘটনার। একদা দেবর্ষি নারদ এর মনে এক প্রশ্নের উদয় ঘটলো যে, আমরা যে কৃষ্ণ নাম করি এই কৃষ্ণ নামের মাহাত্ম্য কি?ভাবতে ভাবতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের কাছে গেলেন কিন্তু কেউই এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। সকলেই বললেন একমাত্র যমরাজ ই পারেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে।অগত্যা দেবর্ষি নারদ যমরাজ কে তার এ হেন মনে র কৌতূহল এর কথা জানান।যমরাজ প্রশ্ন শুনে ঈষৎ হাস্য করে নারদ মুনি কে নিয়ে গেলেন যেখানে পাপী দের শাস্তি দেওয়া হয়।সেখানে গিয়ে পাপীদের শাস্তি ও কষ্ট পেতে দেখে নারদ মুনির মুখ থেকে “হে কৃষ্ণ” ধ্বনি নির্গত হয়।আর নারদ মুনি র মুখ থেকে নির্গত “হে কৃষ্ণ” ধ্বনি পাপী দের কর্ণ পোঁছানো মাত্র তাদের পাপ স্খলন হয়ে তারা সর্গ যাত্রা করে।এই হল ত্রিলোকে কৃষ্ণ নামের মাহাত্ম্য। মধুর হরে কৃষ্ণ নাম: বৈষ্ণব শাস্ত্রকার গন ব্যুৎপত্তি অনুসারে, হরে শব্দটি কে ভগবান বিষ্ণুর অপর নাম হরি সম্বোধনসূচক পদ হিসাবে ব্যক্ত করেছেন । যার অর্থ যিনি জাগতিক সকল মোহের মুক্ত ঘটান। আর রাম শব্দটি র উৎপত্তি ঘটেছে রাধার প্রিয় পাত্র তথা রাধারমণ শব্দ থেকে। “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণকৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরেহরে রাম, হরে রামরাম রাম হরে হরে।” মধুর হরে কৃষ্ণ নামের ইতিহাস: আনুমানিক ১৫০০খ্রী: এই নাম সৃষ্ট হয় বলে বৈষ্ণবশাস্ত্রকার গন মনে করেন। এরপর ষোড়শ শতকে চৈতন্য মহাপ্রভু কৃষ্ণ নাম টিকে অধিক জনপ্রিয় করে তোলেন।গৌড়ীয়বৈষ্ণব প্রথা অনুসারে এই কৃষ্ণ নাম উচ্চৈঃস্বরে বারংবার সংগীতবাদ্য সহযোগে ভজন ও দলবদ্ধ ভাবে কীর্তন বা একান্তভাবে মনে মনে জপ করা হয়ে থাকে।কেননা এ নাম জপ করলে মনের সকল মলিনতা কেটে যায়। চিত্তে সত্ত্বগুণ আসে।ব্যবহারে সাত্ত্বিকতা বড়ে। বিপদে পড়তে হয়না। চিত্ত প্রেমপূর্ণ হয়ে ওঠে। কৃষ্ণ নাম জপতে জপতে মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। ভক্ত হৃদয় কৃষ্ণ প্রেমে আকুল হয়ে ওঠে। “সই কে বা শুনাইলো শ্যাম নামকানের ভেতর দিয়া মরমে পসিল গোআকুল করিল মোর প্রাণ। “ মধুর হরে কৃষ্ণ নাম মহিমা: সর্গ, মর্ত্য, পাতাল এই ত্রিভুবনে শ্রীকৃষ্ণ ন্যায় অভিষ্টদাতা আর কেউ নেই।ভক্তি ভরে শ্রীকৃষ্ণ নাম জপ করলে ত্রিকালের মঙ্গল সাধন হয়, মনের সকল কলুষতা কেটে যায়।ও সকল অসৎ চিন্তা থেকে মন বিরত হয়। মধুর কৃষ্ণ নাম জপ করলে চিত্তে সৎগুণের উদয় ঘটে।মন কোমলতা ও দয়ার বশবর্তী হয়ে ওঠে। বিপদে পড়তে হয়না।কৃষ্ণ নামে ব্যাধির বিনাশ ঘটে। কৃষ্ণ নামে শ্রীবৃদ্ধি হয়, সুখ বিস্তার লাভ করে। সংসারের শোক, দুঃখ, নিরানন্দ দূর হয়। মানুষের মনে আধ্যাত্ম জ্ঞান আসে। কৃষ্ণ নাম জপ করতে করতে প্রাণ মন প্রেমোল্লাসে মেতে ওঠে। কৃষ্ণ প্রেমে মন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।কৃষ্ণে নাম জপতে জপতে কৃষ্ণকে পাবার আশায় শ্রীরাধিকা র প্রান মন যেমন ব্যাকুল হয়ে ওঠে ঠিক তেমনিই ভক্ত হৃদয় ও আকুল হয়ে ওঠে। “না জানি কতেক মধু শ্যাম নামে আছে গোবদন ছাড়িতে নাহি পারে।জপিতে জপিতে নাম অবস করিল গোকেমনে পাইবো সই তারে।” কৃষ্ণ নাম জপ করাই হল ঘোর কলি যুগ থেকে উত্তরণের এক মাত্র পথ। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর বলেছেন জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্যদাস। আরও পড়ুন – ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী পরিশেষে বলা যায়,ভক্তি ভরে শ্রীকৃষ্ণ নাম পাঠ করলে, ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত হৃদয়ে অবর্তীর্ণ হন।এবং শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভক্ত দের অযাচিতভাবে কৃপা করেন। সমস্থ মনস্কামনা পূরন করে দেন। আমাদের চিত্তবৃত্তিকে আরো সুন্দর ও প্রেমপূর্ণ করে তোলেন এই পার্থনা করে তাঁর চরনে বিনম্র প্রনাম জানাই। আমাদের আধ্যাত্মিক এই বিষয়টি ভালো লাগলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়। আর হ্যাঁ, বন্ধুদের সাথে শেয়ার অবশ্যই করুন। আমাদের পাশে থাকুন। উৎস-ইন্টারনেটধন্যবাদ।। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share