এই সহজ পদ্ধতিতে মাত্র এক মাসেই কমান শরীরের অতিরিক্ত মেদ | Reduce extra body fat in a month শরীর ও স্বাস্থ্য by admin - March 28, 2020April 15, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share অতিরিক্ত মেদ আমাদের শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়, অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনস্টোকও ঘটায়। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় এই সহজ পদ্ধতিতে মাত্র এক মাসেই কমান শরীরের অতিরিক্ত মেদ। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনার আগে প্রথমেই বিশ্লেষণ করা দরকার আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণ। যে কারণে অতিরিক্ত মেদ জমছে, বিশেষ করে পেটের অতিরিক্ত মেদ যা আমাদের প্রচণ্ড সমস্যায় ফেলে; তার কারণগুলি হলঃ কিভাবে আমরা দৈনন্দিন জীবনযাপন করি যেমন অনেক সময় ধরে বসে কাজ করা, আমাদের ঠিক সময় মত না খাওয়া, আমাদের ঠিকমত না চলাফেরা – আমরা কেমন বসছি, কেমনভাবে বিছানায় শুয়ে পড়ছি তার উপর নির্ভর করে জমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ।অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাওয়া।অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া।জল কম খাওয়া। কি কারণে অতিরিক্ত মেদ জমছে তা জানার পর আমাদেরকে সহজ পদ্ধতি, ঘরোয়া উপায়ে তার সমাধান করতে হবে যাতে অতিরিক্ত মেদ না জমতে পারে। কিছু ঘরোয়া সহজ উপায়ে এই অতিরিক্ত মেদ অতিদ্রুত কমিয়ে ফেলা যায়ঃ আমাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার যুক্ত রাখা, কার্বোহাইড্রেড/শর্করা জাতীয় খাদ্য কম করা, বাইরের খাবার ত্যাগ করা।ঠিক সময়মত খাওয়া বেশিক্ষণ অভুক্ত না থাকা, চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া।প্রয়োজন মত জল পান করা। জল আমাদের দেহের অতিরিক্ত টক্সিন ঝরিয়ে ফেলে।একটু নিয়মিত হাটার অভ্যাস করা। বেশিক্ষণ বসে না থাকা, বেশিক্ষণ শুয়ে না থাকা।রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হাল্কা গরম জলে লেবু, মধু খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমতে থাকে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এক মাসেই কমান শরীরের অতিরিক্ত মেদ সাদা জিরা সাদা জিরা আমাদের দেহে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে, দেহের অসাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ কমিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ রাতে এহগ্লাস জলে দু টেবিল চামচ জিরা ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে চা এর মত পান করুন। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী যা আমাদের চারিপাশে সচরাচর দেখা যায়। অ্যালোভেরাতে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক অ্যাসিড, B6, B12। এই অ্যালোভেরার জুস পান করলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা পাতা থেকে সবুজ অংশ বাদ দিয়ে ভিতরের সাদা শ্বাসালো জেল জাতীয় অংশ নিয়ে, একটা পাত্রে জল নিয়ে এই সাদা জেল জাতীয় অংশকে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ওটাকে ছাঁকা দিয়ে ছেঁকে নিয়ে, জুস বানিয়ে নিয়মিত একমাস পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। আদা আদা আমাদের প্রত্যেকেরই রান্নাঘরে পাওয়া যায়। এটিতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট যা শরীরে রোগ জীবানু ধ্বংস করে, অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এর বিকল্প নেই। একটুকরো আদা ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে পাত্রে জল নিয়ে ফুটিয়ে ওটাকে চা এর মত পান করতে হবে, অন্তত একমাস। আরও পড়ুন মুখের ব্রণ -র দাগ দূর করে মুখের তারুণ্য ফেরানোর কয়েকটি ঘরোয়া কৌশল লাউয়ের রস : এতে অতি রিক্ত পরিমান জল যেমন আছে তেমনি খনিজ উপাদান ও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা তো রাখেই, তার সাথে সাথে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন কে ঝরিয়ে ফেলে যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদকে কমিয়ে ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।এছাড়া লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমায় এই লাউয়ের রস।এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় শরীরের জলের ঘাটতি ও পূরণ করে। একটা লাউ নিয়ে তার বাইরের সবুজ অংশ বাদ দিয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে, ওগুলো ধুয়ে নিয়ে একটা মিক্সারে মিক্সড করে লাউয়ের জুস তৈরী করে নিতে পারেন অতি সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে যা স্বল্প ব্যয়ে, অল্প সময়ে সম্ভব। তাই রোজ সকালে ঘুম থেকে খালি পেটে লাউয়ের রস খেলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ অতি দ্রুত কমতে থাকে। অন্তত একমাস খেয়ে দেখুন আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন লাউয়ের রস এর গুনাগুন। মেথি মেথি আমাদের প্রত্যেকেরই দৈনন্দিন রান্নাঘরের সামগ্রীর মধ্যে একটি উপকরণ, যা আমাদের নাগালের মধ্যেই থাকে। রোজ সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া মেথি ভেজানো জল শরীরের শর্করার পরিমাণ ও কমায় যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদকে কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ রাতে যদি একগ্লাস জলে একচামচ মেথি ভিজিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেই মেথি ভেজানো জল খাওয়া হয় তাহলে যেমন অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনি হজম ক্ষমতা ও বাড়ায়। কিসমিস আমারা সাধারণত কিসমিস পোলাও, পায়েস ও অন্যান্য খাবারের সাথে ব্যবহার করি খাবারকে আরও বেশি সুস্বাদু করতে। কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না এই কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া এতে প্রচুর ফাইবার ও আছে যা অতিরিক্ত মেদকে কমাতে সাহায্য করে। তাই, রাতে এক কাপ জলে ৭-৮ টা কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে ঐ কিসমিস সমেত জল মিক্সারে দিয়ে জুস তৈরী করে একটু হালকা গরম করে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে যেমন শরীরের মেদ কমে যায় তেমনি পেটের যে কোন সমস্যা ও নিমেষে দূর হয়ে যায়। এই কিসমিস ভেজানো জলে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার থাকায় রক্ত স্বল্পতা কমায় সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় রোজ রাখা যেতে পারে। কিসমিস ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে ও সাহায্য করে। উপসংহার উপরোক্ত উপায়গুলি আমরা অতি সহজেই আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও করে নিতে পারি যেহেতু সবগুলি আমাদের ব্যবহারিক জীবনের সাথে জড়িত এবং স্বল্প ব্যয়ে ও অল্প সময়ে করা যায়। এভাবে মাত্র এক মাসেই কমান শরীরের অতিরিক্ত মেদ । অবশ্য একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এগুলির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের রীতিটা ও পাল্টাতে হবে, যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদকে কমিয়ে ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে এছাড়া ও মানসিক চিন্তা যতটা সম্ভব কম করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া ও রোজ একটু হাঁটার অভ্যাস এসব কিছু আমাদেরকে সুস্থ-সুন্দর জীবন দান করবে।। অবশেষে বলতে পারি, শরীরের অতিরিক্ত মেদকে কমাতে উপরোক্ত যেসব উপায়গুলি আলোচনা করলাম – – – – – – – – সবগুলোই বিজ্ঞান সম্মত, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং তথ্যনির্ভরপ্রযুক্তি সাথে জড়িত অন্যান্য জায়গা থেকে সংগৃহীত এবং আমি নিজেই করে এর বিশেষ ফললাভ করেছি আপনারা ও অবশ্যই অতি সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ,অল্প সময়ে আপনাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে থেকে অন্তত একমাস করে দেখুন নিশ্চিত সুফল পাবেন। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share