ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়: ফল পাবেন মাত্র ৭ দিনে রান্নাবান্না ও রূপচর্চা by admin - September 17, 2020March 28, 20230 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই নারীর অপূর্ব সৌন্দর্য্য মহিমা মুনি-ঋষি থেকে শুরু করে স্বর্গের দেবতা সবাইকে মুগ্ধ করে এসছে।আর গৌরবর্ণ, লাবণ্যময় নারীর অপরূপ সৌন্দর্য্য! তো উদভ্রান্ত করে সবাইকে। সেহেতু, প্রত্যেক নারী-ই ‘নিজেকে সাজাতে চায় পরিপাটি করে বহু যতনে’। তবে সবাই তো আর গৌরবর্ণের অধিকারিণী না। আর তাই প্রত্যেকেরই ইপ্সা কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল রঙের অধিকারিণী হওয়ার । সবাই উদ্বিগ্ন ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক পেতে ও চিন্তিত ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় নিয়ে। আসুন আজ আপনারা দেখে নিন ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার বা ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়: ফর্সা হওয়ার উপায় ফর্সা হওয়ার খাবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় কয়েকটি জরুরী টিপস ফর্সা হওয়ার উপায়: খুব দ্রুত ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে অনেকেই বাজার চলতি বিভিন্ন ফেয়ারনেস ক্রিম যেমন- ফেয়ারনেস ক্রিম স্কিনলাইট, রূপমন্ত্রা, বিটনোভেট জাতীয় বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রোডাক্ট বা ক্রিম ব্যবহার করেন যা অনেকটা ব্যয়বহুল। এবং যেগুলো কয়েক সপ্তাহে গায়ের রঙ ফর্সা করে তোলার প্রতিশ্রুতি তো দেয়। কিন্তু তা ত্বকের অনেক ক্ষতি করে এমনকি বিভিন্ন সাইড এফেক্টের ফলে রঙ নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায়।তবে আপনারা একটু সচেতন হলে, ঘরোয়া উপায়ে সহজেই পেতে পারেন ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক। ফর্সা হওয়ার খাবার: ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি পায়, তাহলে তার জেল্লা সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়। তাই বিভিন্ন হানিকারক কেমিক্যাল প্রসাধনী ব্যবহার না করে এমন কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া যায় যার ফলে সহজেই ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। যেমন- ১. জল প্রত্যেকদিন প্রতিটি মানুষের প্রায় ২ লিটার করে জল খাওয়া প্রয়োজন। জল আমাদের শরীরের দূষিত পদার্থকে ঘামের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেয়। আর আমাদের রাখে ভেতর থেকে সুস্থ। জল ত্বকের ভাঁজ দূর করে। পর্যাপ্ত জল প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছায় আর ব্রণর সমস্যা কমায় এবং আমাদের ত্বককে জেল্লাদার করে তোলে। ২.ফলের রস মুসাম্বি, কমলালেবু, আঙুর এই ফলগুলির রস রোজ এক গ্লাস করে খেতে পারেন। তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, ১-২ সপ্তাহেই আপনি আপনার গায়ের রঙ আগের থেকে ফর্সা হতে দেখবেন। ৩.করলা করলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ যা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারী। করলা ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় রঙের অসমতা দূর করে গায়ের রঙ উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন-সি যা কোষে পুষ্টি পৌঁছে দেয় আর ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। ৪. হলুদ কাঁচা হলুদ খাওয়া ত্বকের জন্য খুব উপকারী। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ টুকরো হলুদ খেতে পারেন। অথবা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া খুব উপকারী, কারণ হলুদ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টির জোগান দিয়ে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল ও দীপ্তিমান করে তোলে। ৫. দই রোজ কিছুটা করে টক দই খাওয়ার দুটি সুবিধা আছে। স্কিন যেমন চকচকে হয়ে ওঠে, তেমন টক দই ফ্যাটকেও নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজম হতে ও সাহায্য করে।ফর্সা হওয়ার খাবার হিসাবে যদি এগুলি নিয়মিত খেতে থাকেন তো ভিতর থেকে হয়ে উঠবেন আপনি সুন্দর ও লাবণ্যময়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়: বেশ কিছু উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়া যায় নিমেষেই। ১. দুধ ও বেসনের প্যাক: দুধ আমাদের প্রত্যেকেরই ঘরে থাকে এর জন্য বাড়তি কোনো খরচ নেই। কিছুটা দুধ ও ৩-৪ চামচ বেসন ও ২-৩ চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরী করে রোজ স্নানের আগে মুখে ও গলায়, হাতে-পায়ে মাখলে কয়েকদিনের মধ্যে ত্বক অত্যন্ত নরম ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। দুধ ত্বকের ফাঁকে জমে থাকা ময়লাও পরিস্কার করে দেয়। ২.কাঁচা হলুদের পেস্ট: কাঁচা হলুদ গায়ে মাখা খুব উপকারী। দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে মুখে এবং গায়ে মাখলে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফরসা হওয়ার একটি অন্যতম উপায়। ৩.দইয়ের প্যাক: টকদইয়ের প্রচুর গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের জন্য তো উপকারী এছাড়া চুলের যত্ন নিতে ও খুবই কার্যকরী। তবে আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে টকদইয়ের ব্যবহার অনস্বীকার্য। টকদইয়ের সাথে বেসন ও হলুদ মিশিয়ে সাথে একটু মধু বা যদি অ্যালভেরার রস দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ওটা মুখে মাখেন নিয়মিত তো আপনার ত্বকের জৌলুস ফিরে আসবে। বেশি না মাত্র ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে তারপর একটা ভিজা কটন দিয়ে তুলে দিন বা ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। আরও পড়ুন – এই ৭ টি বিউটি টিপস্ যা রাতারাতি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে দেবে এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার এই সহজ উপায়গুলিতে খুব কম খরচে বাড়িতেই বিউটি পার্লারের ন্যায় ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। বিউটি পার্লারে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়ও নষ্ট হবে না। যে কোনো উৎসবের আগে, রোজকার জীবনে নিজের জন্য বের করে ফেলুন কিছুটা সময় আর নিজের যত্ন নিন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়: অনেকের গায়ের রঙ ফর্সা হলেও রোদে, ধুলোবালিতে রঙ ময়লা হয়ে যায়। তবে ভাল করে যত্ন নিলে সহজেই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায় এবং ন্যাচারাল সৌন্দর্য্যের অধিকারীণি হওয়া যায়। কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ফর্সা হওয়া সম্ভব হয়। যেমন- গ্রিন টি: গ্রিন টি-র অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত দু-তিনবার গ্রিন টি পানের অভ্যাস ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমায় এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার একটি উপায়। অলিভ অয়েল: অলিভ ওয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য। অলিভ ওয়েল ময়েশ্চারাইজারের কাজ তো করেই সেই সাথে রাতে ব্যবহার করা যায় নাইট ক্রিম হিসাবে ও। যার ফলে আমাদের ত্বক হয়ে উঠবে নরম কোমল ও উজ্জ্বল। মেকাপ ধোয়ার জন্য অলিভ অয়েল খুব কার্যকরী। ত্বকের খাঁজে লুকিয়ে থাকা ময়লা বের করে দিতে সাহায্য করে। টমেটো: আমাদের শরীরে মৃত কোষগুলি জমে যায় ও সেখানে ধুলো জমে ব্ল্যাকহেড তৈরি করে। টমেটোর উপাদান এই ডেড স্কিন পরিস্কার করে। রোজ স্নানের আগে ১০ মিনিট মুখে, গলায় টমেটোর রস মাখা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ত্বকের ট্যান দূর হয়ে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও চকচকে। পেঁপে: পেঁপে ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী উপাদান। ত্বকের ট্যান দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়া মুখে বা গলায় মেচেতার দাগ থাকলে পেঁপের রস তা দূর করতে খুব ভাল কাজ করে। পেঁপে মিক্সিতে একটা পেস্ট বানিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিলে, এক সপ্তাহেই সব দাগ চলে যায়। এগুলি সমস্তই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার(ন্যাচারাল সৌন্দর্য্যের)সহজ উপায় বা বলতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়। কয়েকটি জরুরী টিপস: আমরা যে গায়ের রঙ নিয়ে জন্মাই তাকে রক্ষণ করলেই কোনো বাড়তি যত্নের প্রয়োজনই পড়ে না। এমন কয়েকটি টিপস হল- ১. বাইরে রোদে বেরোনোর সময় সানস্ক্রিন মেখে নিন বা ওড়না, টুপিতে মুখ গলা মাথা ভাল করে ঢেকে নিন। যাতে সানবার্ন থেকে ত্বকের রক্ষা হয়। ২. মাঝে মাঝেই ভেজা রুমাল বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ৩. বাইরে থেকে বাড়ি ঢুকেই ফেসওয়াশ দিয়ে ভালভাবে মুখ পরিস্কার করে নিন। তুলো জলে ভিজিয়ে চোখের নিচ, কানের নিচ ভাল ভাবে পরিস্কার করুন। ৪. সপ্তাহে ১ বার স্ক্রাবিং করা যাতে ত্বকে জমা ময়লা বা ব্ল্যাকহেডসগুলো উঠে যায়। ৫. মাসে একবার অন্তত ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল করা খুবই দরকার। আরও পড়ুন – মুখের ব্রণ -র দাগ দূর করে মুখের তারুণ্য ফেরানোর কয়েকটি ঘরোয়া কৌশল তাহলে আর চিন্তা কিসের?! ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়েই আপনি পেয়ে যেতে পারেন এমন লাবণ্যময় ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক যাতে আপনার বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী সকলেই আপনাকে ঈর্ষা করবে আর জানতে চাইবে আপনার এমন উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য। সুতরাং বন্ধুরা আপনাদের নিজেদেরকে করে তুলুন আকর্ষণীয় এবং লাবণ্যময়ী অপরূপ সৌন্দর্য্যময়ী। এরকমই আরও বিউটি টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন । আর হ্যাঁ, ফর্সা এবং জেল্লাদার উজ্জ্বল ত্বক পেতে! (ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়)কেমন লাগলো? কতটা উপকার হল!? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share