করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী ২০২০ | Coronavirus: Pandemic of 2020 Editor's pick Highlight slider ভাইরাল by admin - March 28, 2020April 15, 20200 Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share ২০১৯-২০২০ করোনাভাইরাস নামক এক মহামারী আমাদের গোটা বিশ্বকে টালমাটাল করে দিচ্ছে। অনেকে এই ভাইরাসটিকে কোভিড-১৯ বলে উল্লেখ করেছেন।যার অর্থ হলো কো তে করোনা – ভি তে ভাইরাস – ডি তে ডিসিস বা রোগ ২০১৯। এই ভাইরাসের কারণে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণের সূত্রপাত ঘটে।যা মূলত প্রাণঘাতী। ব্যাধিটির প্রাদুর্ভাব প্রথমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে শনাক্ত করা হয়। করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী ২০২০। করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী, উৎপত্তিস্থল :- প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয় ২০১৯ সালের প্রায় শেষের দিকে এই ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমণ ঘটে উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক এলাকায় খাদ্যের পাইকারি বাজারের দোকানদারদের মধ্যে। সামুদ্রিক খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি চীনের বাজারে সাপ,জীবন্ত বাদুড় ও অন্যান্য প্রাণীর যবাই করা দেহাবশেষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি বিক্রী করে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল যে হয়তো করোনাভাইরাসটি কোনো প্রাণীদের দেহ থেকে বিবর্তিত হয়ে অন্য একটি মধ্যবর্তী পোষ্য প্রাণীর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে মানবদেহের অভ্যন্তরে। একটি সূত্রের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের প্রথম যে আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন ৫৫ বছর বয়স্ক,যিনি ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সমগ্ৰ চীনের সমস্ত প্রদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা পরেরমাস থেকে আশঙ্কাজনকভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পরিমাণ অদ্ভুত ভাবে বেড়ে যায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে উহানে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরের মাস থেকেই চীনেতে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। ২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারি তারিখে চৈনিক বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করে নিউমোনিয়া হওয়ার বিষয়টি কে একটি নতুন ধরনের ভাইরাস হিসেবে ঘোষণা করেন,যার নাম দেওয়া হয় করোনা ভাইরাস। এবং সমগ্ৰ বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে এই নতুন ভাইরাসের নমুনা তথ্যগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম দিকে বিপজ্জনক ভাবে দ্বিগুণ হতে যেত প্রতি সাড়ে সাতদিন অন্তর। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত এই করোনা জীবাণু চীনের সমস্ত প্রদেশ গুলিতে প্রবেশ করতে থাকে। চীনের সর্বত্র চলাচলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো এই বিতর্কিত উহান নামক নগরী এছাড়া চৈনিক নববর্ষের দরুন এই ভাইরাস চীনের সকল প্রদেশে খুব অনায়াসে পৌঁছে যায়। চীনে ২০ শে জানুয়ারী ১৪০ জন নতুন আক্রান্তের ঘটনা মাত্র একদিনের মধ্যে চীনকে এক অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেয়। প্রায় ৬,১৭৪ জন নতুন আক্রান্তের ঘটনা ২০ জানুয়ারির মধ্যে চীনের ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ড কে এক লহমায় ভেঙে দেয়। ভাইরাসের সংক্রমণ :- চীনের উহানের করোনাভাইরাসটির আকার প্রায় ১২৫ ন্যানোমিটার (অর্থাৎ ১ মিটারের প্রায় ১ কোটিভাগের এক ভাগ)।এটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের। আকৃতিতে বড়ো হবার দরুণ ভাইরাসটি বাতাসে দুই বা তিন ঘণ্টার বেশি ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে না,আর কয়েক গজের বেশি দূরে যেতে পারে না।ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এটিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে।পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে পারস্পরিক মেলামেশা করার ফলে সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি,কাশি,থুতুর মাধ্যমে জীবাণুটি সরাসরি ভাবে একজনের থেকে অপরজনের ওপর সংক্রমণ ঘটায়। অপরদিকে খোলা পরিবেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে বা হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় জীবাণু টি হাতে লেগে থাকলে, সেই মানুষটি যদি মোবাইল ফোন, দরজার হাতল, ছিটকিনি বা খাটের খাম্বায় হাত দেয় তাহলে পরোক্ষভাবে একজন সুস্থ মানুষের কাছে এই জীবাণু অতি সহজেই ছড়িয়ে যেতেই পারে। করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী ২০২০। উপস্বর্গ :- কিছু গবেষণামূলক পত্র পত্রিকায় ও নেচার সায়েন্সের গবেষণামূলক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, কিছু আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের অজান্তে নীরবে এই জীবাণুটির সংক্রমণ বাড়াতে থাকে। । যেমন, চীনে পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া করোনাভাইরাসবাহী প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিই কোনও উপসর্গ প্রকাশ করেনি।এর বাইরেও ইতালির ভেনেতো অঞ্চলের ভো শহরের সমস্ত অধিবাসীদের পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং সেই ব্যক্তিদের পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে জানা গেছিল যে বেশিরভাগই ছিল উপসর্গহীন করোনা ভাইরাসের নিরব বাহক।এই সব নিরব বাহকেরাই নিজের অজান্তেই প্রতিদিন করোনারি জীবাণু ছড়িয়ে দিচ্ছে নিজেদের সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরে।। অথবা বহুদিন ধরে যেসব ব্যক্তিরা অল্প অল্প করে করোনার উপসর্গ অনুভব করেছেন, তাদের নাকে মুখে,গলাতে এই করোনারি জীবাণু অতিরিক্ত মাত্রায় পাওয়া গেছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বা হাঁচি ও কাশি দিয়ে কম সংখ্যায় হলেও, নিজের অজান্তেই আশেপাশে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। সরকার ও এই বিষয়ে যুক্ত বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের উচিত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে অধিক গুরুত্বের সহযোগে গ্ৰহণ করা,এবং গণমাধ্যমগুলির বিরামহীন প্রচার করা প্রয়োজন এই নীরববাহক ও সংক্রামকদের ভূমিকা নিয়ে। ক) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে ভীষণ ভাবে জোর দেওয়া প্রয়োজন বাইরের সমাজ ও গৃহের ব্যক্তির সাথে। খ) যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ওই উপস্বর্গহীন ব্যক্তিকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে;এটিই হলো এই চুপিসারে বেড়ে ওঠা ভাইরাসকে এবং সংক্রামকদের প্রতিহত করার অন্যতম প্রধান পথ অবলম্বন।কিছু কিছু ব্রিটিশ চিকিৎসকের মতে যদি কোনও উপসর্গহীন ব্যক্তির একাধিক দিন যাবৎ ঘ্রাণ ও স্বাদের ক্ষমতা অনুভব করতে না পারে তবে সেই ব্যক্তির শরীরে ব্যক্তিটির অজান্তেই মারণরোগ করোনার উপস্থিতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকতে পারে এছাড়া ৩০% বা তারও বেশী পরিমাণে উপসর্গহীন ব্যক্তির এরূপ ঘ্রাণশক্তি উপলব্ধি না করার লক্ষণ প্রকাশ পায়। মৃত্যু মিছিল :- সারা বিশ্বে ১১ হাজারের কিছুবেশী লোক করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ১০শে মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এই ঘটনার ঠিক ১টা সপ্তাহ আগে মৃত্যু মিছিলের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ হাজার ৪০০ জনের একটু বেশি। করোনার কড়াল ছোবলে এক সপ্তাহতে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে। যেমন চীনে মার্চের শেষ দিকে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হবার সময় ছিল ৩৫ দিন। সারাবিশ্বে বর্তমানে কয়েকলক্ষ মানুষ মারা গেছেন। চীনের পরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ইটালী। এছাড়া স্পেন,জাপান, রাশিয়ার মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি এই ভাইরাসের প্রকোপে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভারতবর্ষে এই সংক্রমণ ১১০০ মানুষের মধ্যে পাওয়া গেছে। WHO এর ঘোষণা করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী ২০২০:- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে ২০২০ সালের ১১ই মার্চ তারিখে একটি বিশ্বজনীন মহামারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।বিশ্বের ১৯৯টিরও বেশি দেশ ও অধিনস্ত অঞ্চলে ৬,৬৮,৩০০ এরও বেশী ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আক্রান্ত হয়েছে ২০২০ সালের ২৯শে মার্চ পর্যন্ত।এদের মধ্যে ৩১ হাজার জনের বেশী ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে এবং ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। সামাজিক সচেতনতা :- সমাজের সাধারণ ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) তথা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলি নিচে তুলে ধরা হল। করোনাভাইরাস মানুষ-থেকে-মানুষে প্রধানত দুই প্রক্রিয়াতে ছড়াতে পারে। উপরে লিখিত করোনাভাইরাস ছড়ানোর দুইটি” প্রক্রীয়ার শুরুতেই এবং কিংবা ছড়ানোর প্রতিটি অন্তবর্তী ধাপেই যদি করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করা যায় তাহলে সফল ভাবে এই ভাইরাস ও রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আরও পড়ুন – ভগবান বিষ্ণুর কৃপা পড়তে চলেছে এই এই ৫ রাশির জাতক জাতিকার উপর সংক্রমনের প্রথম প্রক্রীয়াটি দুটি ধাপে হয়; ১নং ধাপ:- যদি কোনো ব্যক্তি করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে,সে যদি ঘরের বাইরে গিয়ে মুখ না ঢেকে হাঁচি বা কাশি দেয়,তাহলে বাতাসে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত করোনার জীবাণু ভাসমান থাকে। ২নং ধাপ:- এবার করোনা ভাইরাসের কণাগুলো বাতাসে মিশছে যখন, কোনো ব্যক্তি যেইনা বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছে, ওমনি সেই সুস্থ ব্যক্তির শ্বাসনালী দিয়ে করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারছে। সংক্রমনের দ্বিতীয় প্রক্রীয়াটিও কয়েকটি ধাপে হয়; প্রথম:- যে ব্যক্তি করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত তিনি যদি কোনো প্রকার নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার হাতে কিংবা তার ব্যবহারের জিনিসে করোনার জীবাণু লেগে থাকবে। দ্বিতীয়:- এবার যদি সেই ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিবেশের যেকোনো অংশে করোনা ভাইরাস যুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ “করে তাহলে সেই অংশে করোনার জীবাণু পরবর্তী একাধিক দিন থেকে যাবে। তৃতীয়:- এবার কোনো ব্যক্তি যদি ওই লেগে থাকা জীবাণুর অংশে নিজের হাত দিয়ে না জেনে স্পর্শ করে তাহলে তার হাতে করোনার জীবাণু লেগে যাবে। চতুর্থ:- তবে হাতে লাগলেই দেহের ভেতরে বা ফুসফুসে সংক্রমিত হতে পারে না এই করোনা ভাইরাস। কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি ভূলবশত তার করোনা সংক্রমিত হাতটি নাকে মুখে কিংবা চোখে স্পর্শ করায় তাহলে শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে প্রথমে গলায় ও পরে ফুসফুসে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে বংশবিস্তার করতে শুরু করে দেবে। উপরিউক্ত ভাইরাস সংক্রমণের দুটি প্রক্রীয়ার শুরুতেই অথবা সংক্রমণের প্রতিটি অন্তবর্তী ধাপেই যদি করোনা ভাইরাসকে দমন করতে সক্ষম হওয় যায়, তাহলে এই ভাইরাস ও রোগের সংক্রমণ সফল ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এই মারণ জীবাণু প্রতিরোধ করার জন্য নিম্নে কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হলো:- এই ভাইরাসটি এতোটাই ভয়ঙ্কর ১৫-২০ দিন সময় পর্যন্ত উপসর্গ বাইরে প্রকাশ নাও পেতে পারে। যে ব্যক্তির অজান্তেই এই রোগ তার শরীরের মাঝে বহন হচ্ছে, সেই ব্যক্তি যদি কাশি ও হাঁচি দেয় তাড়লে বাতাসে এই ভাইরাসের কণাগুলি ৩-৬ ফুট মতো দূরত্বের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় থাকে। আর ওই বৃত্তের ভূখন্ডের মধ্যে কোনো সুস্থ ব্যক্তির স্বাভাবিক নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তার দেহে জীবাণুর বাস সৃষ্টি হবে।আর এই কারণেই অতি জনাসমাগমকীর্ণ অঞ্চল দৃঢ়তার সহিত এড়িয়ে চলতেই হবে,নচেৎ করোনাভাইরাসের কণাগুলি অতি সহজেই শরীরে প্রবেশ করে যাবে। সর্বদা মাস্ক বাধ্যতামূলক ভাবে মুখে পড়তে হবে।হাতের কবজি পর্যন্ত সাবান দিয়ে বা বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। সর্বপরি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এই রোগের প্রাথমিক ভিত্তি। তবে অন্ধকারের মাঝে আশার আলোও থাকে। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মূলত শনাক্তকৃত করোনা ভাইরাস রোগী এবং করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা থাকে৷ এসব সংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে আক্রান্ত যত মানুষ মারা যাচ্ছেন তারচেয়ে ১৩ গুণ বেশি মানুষ সুস্থও হচ্ছেন৷ আর আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার মধ্যেকার আনুপাতিক হার ক্রমশ বাড়ছে৷ এছাড়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির ঝুঁকির সম্ভাবনা অল্পবয়সীদের থেকে অবশ্যই বেশী। হয়তো একদিন ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে করোনা ভাইরাস বিশ্ব মহামারী ২০২০। তবে প্রতিবার পৃথিবীতে মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে সে কোনরকম ধনী-গরীব, উচ্চ নীচ ভেদাভেদ করে না। বিপদের দিনে প্রতিটা মানুষ এক হয়ে যায়। গতকাল অবধি যে মানুষেরা নিজের চাকরি বা নিজের প্রেমকে আটকে রাখার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকতো, সেই মানুষদের আজ একটাই সোপান বাঁচতে চাই। Share on Facebook Share Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share Share on LinkedIn Share Share on Digg Share